অ্যালোভেরা নানাভাবে ব্যবহার করা হয়। ঔষধি গুণে ভরপুর অ্যালোভেরা অনেক মারাত্মক রোগের সাথে লড়াই করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরারও প্রচণ্ড ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, অ্যালোভেরার সাহায্যে আপনি বাড়িতেই বিনামূল্যে ফেসিয়াল করতে পারেন। হ্যাঁ, ক্লিনজিং থেকে শুরু করে স্ক্রাব, স্টিমিং এবং ফেসপ্যাক, অ্যালোভেরা বিনামূল্যে মুখের সমস্ত ধাপ সম্পূর্ণ করতে পারে।
ক্লিনজিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করুন
অ্যালোভেরা মুখের জন্য সবচেয়ে ভালো ক্লিনজিং এজেন্ট। এজন্য ২-৩ চা চামচ অ্যালোভেরা জেলে ১ চা চামচ লেবু ও ১ চা চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন এবং তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অন্যদিকে, আপনার যদি তৈলাক্ত ত্বক হয় তবে গ্লিসারিন বাদ দেওয়া ভাল।
অ্যালোভেরা হল মুখের জন্য সেরা স্ক্রাবার,
সাধারণত লোকেরা মুখের ময়লার কণা দূর করতে স্ক্রাব ব্যবহার করে। এমন অবস্থায় আপনি ১-২ চা চামচ ব্রাউন সুগার এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল ২-৩ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন। এ ছাড়া আপনি চাইলে ২-৩ চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে ১ চামচ চালের গুঁড়া, দুধ ও লেবুর রস মিশিয়ে মুখে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা ফেসিয়ালের সময় স্টিমিং সহায়ক
, মুখ থেকে ব্ল্যাকহেডস এবং মৃত ত্বকের কোষগুলি দূর করার জন্য স্টিমিং একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর জন্য, আপনি জল ফুটিয়ে তাতে অ্যালোভেরা জেল এবং এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করে মুখ স্টিম করতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের ছিদ্রে জমে থাকা ময়লা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে।
একটি অ্যালোভেরা মাস্ক তৈরি করুন একটি ট্রাই-ফেস মাস্ক প্রয়োগ করা
ফেসিয়ালের শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এই পর্বে, অ্যালোভেরার মুখের মাস্ক তৈরি করতে, 2 চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, 2 চা চামচ গোলাপ জল এবং 1 চা চামচ মুলতানি মাটি যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার মুখে ও ঘাড়ে ভালো করে লাগান। 20 মিনিট শুকানোর পর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এখন দেখবেন আপনার মুখ খুব উজ্জ্বল এবং সুন্দর দেখাতে শুরু করবে।
No comments:
Post a Comment