ভারতীয় আয়ুর্বেদে চন্দনকে ঔষধি উপাদানে পূর্ণ বলা হয়। এ কারণেই ত্বকের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চন্দনের ব্যবহার খুবই কার্যকর। একই সময়ে, গরমে চন্দনের ব্যবহার মুখের জন্য খুব উপকারী প্রমাণিত হতে পারে। চন্দন পাউডার দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করা শুধু গরমে মুখ ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে না। বরং এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্রণ, ব্রণ এবং ত্বকের সংক্রমণ দূরে রাখতেও কার্যকর।
ত্বকের সমস্যা দূর হবে
ঔষধি গুণে ভরপুর চন্দনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। এমন পরিস্থিতিতে চন্দনের ফেসপ্যাক লাগালে ব্রণ, দাগ এবং ত্বকের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ জন্য কাঁচা দুধে চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করবে এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখাতে শুরু করবে।
ট্যানিংকে বিদায় বলুন
গ্রীষ্মে, প্রখর রোদের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করা খুব কঠিন কাজ। যার কারণে মুখেও ট্যানিং এবং রোদে পোড়া সাধারণ ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে চন্দনের ফেসপ্যাকের প্রাকৃতিক তেল শুধু ট্যানিং ও রোদে পোড়া ভাব দূর করতেই কাজ করে না। বরং এটি জ্বালাপোড়া এবং ত্বকের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতেও সহায়ক হতে পারে।
ফুসকুড়ি এবং অ্যালার্জি
গ্রীষ্মে সূর্যের সংস্পর্শে আসার কারণে, প্রায়শই মুখে ফুসকুড়ি এবং অ্যালার্জি শুরু হয়। এমন অবস্থায় কাঁচা দুধ, মধু ও লেবুর রসে চন্দনের গুঁড়ো লাগালে খুব উপকার পাওয়া যায়। এটি ত্বকের ছিদ্র শক্ত করে এবং অ্যালার্জির ঝুঁকি কমায়।
চন্দন ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ
তাপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মোকাবেলা করার পাশাপাশি, এটি জ্বালাপোড়া, চুলকানি এবং ক্ষত নিরাময়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। ঔষধি গুণসম্পন্ন চন্দন কাঠে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পাওয়া যায়। যেগুলো ত্বকের জ্বালাপোড়া, চুলকানি দূর করে ক্ষত দূর করতেও কার্যকর।
No comments:
Post a Comment