সন্তান খারাপ হলেও মা কখনই নির্দয়ী হতে পারে না। কিন্তু তামিলনাড়ুতে এমন এক মায়ের কীর্তি সামনে এসেছে, যা জানলে শিউরে উঠবেন। এই মা, বন্ধুকে দিয়ে মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করায় এবং তার ডিম্বাণু বিক্রি করে ব্যবসাও শুরু করে দেয়। গত ৫ বছর ধরে তিনি এ কাজ করে আসছিলেন। সম্প্রতি মেয়েটি বিরক্ত হয়ে মায়ের বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলে গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। নির্যাতিতার মা ও তার সঙ্গীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া আরও দু'জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের জড়িত থাকার বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর ইরোড জেলার। অভিযুক্ত মা তার প্রথম স্বামীর মেয়ের সঙ্গে থাকতেন। মেয়ের বয়স বর্তমানে ১৬ বছর। ইন্ডিয়া টুডে জানায়, ৩০ বছর বয়সী ওই মহিলা একটি বেসরকারি ফার্টিলিটি ক্লিনিকে ডিম্বাণু বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার মেয়ে যখন যুবতী হয়ে ওঠে, তখন সে মেয়েকে তার ডিম্বাণু দান করার জন্য চাপ দেয়। এই কাজের জন্য তার ৪০ বছর বয়সী বন্ধুও মেয়েটিকে উৎপীড়ন করত।
পুলিশের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গত ৪ বছরে অন্তত ৮ বার বেআইনিভাবে নাবালিকার ডিম্বাণু বিক্রি করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে এই কাজ করে আসছিল অভিযুক্তরা। এ সময় ওই মহিলা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে মেয়েটির ডিম্বাণু বিক্রি করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিবার মেয়েটির মা এই কাজের জন্য পেতেন ২০ হাজার টাকা, আর একজন মধ্যস্বত্বঃভোগী নিতেন ৫ হাজার টাকা।
২০১৭ থেকে গত মাস পর্যন্ত এই ব্যবসা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছিল। গত মাসে মেয়েটি মন খারাপ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে সালেমে এক বন্ধুর বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তিনি তার কয়েকজন আত্মীয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনা বর্ণনা করেন। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে তার মা ও মায়ের বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ একজন দালালকেও ধরেছে, যে বেআইনিভাবে হাসপাতালে মেয়েটির ডিম্বাণু বিক্রি করতে সাহায্য করত। এছাড়াও, একজন ভ্যান চালককেও গ্রেফতার করা হয়েছে, যে নাবালিকাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখানোর জন্য জাল উপায়ে আধার কার্ড তৈরি করেছিল। পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ এখন সেই হাসপাতাল ও ক্লিনিকে খোঁজ করছে যেখানে মেয়েটির ডিম্বাণু বিক্রি করা হয়েছিল। পুরো বিষয়টির সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদেরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment