শিলিগুড়ি: দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান! উত্তরবঙ্গ ও বাংলাদেশের নাগরিকদের বহু কাঙ্খিত মিতালি এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু হল আজ (বুধবার, ১ জুন) থেকে। এদিন নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশন থেকে ট্রেনটির প্রথম সূচনা হল আজ। রেল মন্ত্রকের সভাকক্ষ থেকে দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সবুজ পতাকা উড়িয়ে মিতালি এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন।
অন্যদিকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে সবুজ সঙ্কেত দেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ রেলের অন্যান্য আধিকারিকরা। মৈত্রী এক্সপ্রেস ও বন্ধন এক্সপ্রেসের পর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগের তৃতীয় ট্রেন এই মিতালি এক্সপ্রেস। সপ্তাহে দু'দিন এই ট্রেনটি এনজেপি থেকে ঢাকা ও ঢাকা থেকে এনজেপি স্টেশনে যাতায়াত করবে। তবে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী ভারতের কাছে এই ট্রেনটি সপ্তাহে পাঁচ দিন যাতায়াতের ব্যবস্থা করার আবেদন জানান। জলপাইগুড়ির সাংসদ বাংলাদেশের এই আবেদনকে সাধুবাদও জানান।
এদিন ১৮ জন যাত্রী এই ট্রেনে করে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। তাদের মধ্যে কেউ এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য, কেউ বা বেড়াতে। এই ট্রেনটি চালু হওয়াতে দুই দেশের মৈত্রী সম্পর্ক যেমন আরও দৃঢ় হবে এবং উত্তরবঙ্গের পর্যটন ও চিকিৎসা ক্ষেত্রের প্রসার ঘটবে বলেই আশাবাদী দুই দেশের নাগরিকরা।
সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, 'প্রথম দিনই যখন ১৮ জন যাত্রী এই ট্রেনে সফর করছেন তখন আগামীতে আরও বহু যাত্রী এই ট্রেনে সফর করবেন, তা বোঝাই যাচ্ছে।'
এদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল। যাত্রীদের সমস্ত নথি ও সামগ্রী চেক করে তবেই তাদের ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয়। যাত্রীরা ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল এই ট্রেনটিতে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আরপিএফ ও বিএসএফের তরফে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে গিয়ে সীমান্তে বাংলাদেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে মিতালি সহ তার যাত্রীদের, বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment