ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন যে বঙ্কিমচন্দ্র শুধু বাংলা নয়, সমগ্র দেশকে একটি দিকনির্দেশনা ও দৃষ্টি দিয়েছেন। জেপি নাড্ডা দুই দিনের বেঙ্গল সফরে রয়েছেন, বুধবার সকালে হুগলি জেলার চিনসুরার বন্দে মাতরম ভবনে গিয়েছিলেন, যেখানে সাহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন। জেপি নাড্ডা বন্দে মাতরম ভবন পরিদর্শন করেন এবং দেশ ও বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের ক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্রের অবদানের কথা স্মরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। এই অনুষ্ঠানে বাংলার বিজেপি কর্মীদের বিপুল ভিড় দেখা যায়। চুনসুরের পরে, তিনি জেলার চন্দননগরে রাশ বিহারী বসু গবেষণা ইনস্টিটিউটও পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, বাংলার হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে বিজেপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জেপি নাড্ডা, যিনি বাংলায় দু'দিনের সফরে রয়েছেন, বিকেল 3টায় দক্ষিণ কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে দলের রাজ্য কার্যনির্বাহী সভায় যোগ দেবেন এবং দলীয় কর্মীদের সঙ্গে 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি কৌশল তৈরি করবেন৷
বন্দে মাতরন ভবন পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জেপি নাড্ডা বলেন, “আজ আমি ভারতের মহান ব্যক্তিত্ব বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কর্মস্থল পরিদর্শন করার সৌভাগ্য পেয়েছি, যেখানে তিনি তাঁর জীবনের পাঁচটি বছর কাটিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে তিনি উপহার দিয়েছেন। এখানে অনেক রচনা কাজ ফর্ম. এসব রচনা সমগ্র দেশ, বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিতে ছড়িয়ে পড়বে। এই পবিত্র ভূমিতে সংঘটিত হয়েছে রচনা ও উপস্থাপনা। এই জায়গায় থাকতে পেরে আমি অভিভূত এবং গর্বিত বোধ করছি।”
জেপি নাড্ডা বলেন, “এখানে এসে বাংলার সংস্কৃতি জানার সুযোগ হয়েছে। তিনি শুধু বাংলা নয়, সারাদেশকে একটি দিকনির্দেশনা ও দৃষ্টি দিয়েছেন। বন্দে মাতরম গানটি হয়ে ওঠে দেশের স্বাধীনতার মন্ত্র। গঙ্গা ও হুগলি নদীর তীরে আমাদের বঙ্কিমচন্দ্র জি তাঁর রচনা করেছিলেন। আজ আমি ভাগ্যবান যে এমন একটি জায়গায় আসতে পেরেছি। আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি। মা ভারতীর সেবায় নতুন শক্তি নিয়ে এগিয়ে যেতে দলটিকে আরও জাতীয়তাবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে। সেই অনুপ্রেরণা নিয়ে গোটা দেশ সুখী হোক এবং সর্বক্ষেত্রে সুখী ও পরিপূর্ণ হোক। সমাজে আনন্দের পরিবেশ থাকতে হবে।"
No comments:
Post a Comment