কলকাতায় অপরাধীরা বেসামাল হয়ে উঠেছে। বড়বাজার এলাকা থেকে বিদেশ থেকে পাচার করা প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার সকালে বড়বাজারের একটি দোকানে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে চার কোটি টাকার অবৈধ সোনা পান কাস্টমস আধিকারিকরা। কোথা থেকে সোনা এসেছে এবং কে বা কারা এই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, বুধবার সকালেই কলকাতা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্রে বেনিয়াপুকুর এলাকায় ভুয়ো কল সেন্টার ফাঁস করল কলকাতা পুলিশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায়, ফোনে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার নামে কল সেন্টার থেকে লোকজনকে প্রতারিত করা হয়েছিল। পুলিশ ৬ জনকে আটক করে ১৫টি মোবাইল, ল্যাপটপ, রাউটার বাজেয়াপ্ত করেছে।
সম্প্রতি কলকাতা এবং সল্টলেকে অনেক ভুয়ো কল সেন্টার ফাঁস হয়েছে। তারা ভুয়ো কল সেন্টার থেকে বিদেশে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার নামে প্রতারণা করে থাকে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বড়বাজারের একটি দোকানে অভিযান চালায় কাস্টমস আধিকারিকরা। ৯,০২০.৪৬ গ্রাম অবৈধ সোনা বাজেয়াপ্ত। আধিকারিকরা জানান, সোনার বাজার মূল্য ৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। তিনি বলেন, এই সোনা বিদেশ থেকে আনা হয়েছে। এর সঙ্গে বড় কোনও চোরাচালান চক্র জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন আধিকারিকরা। চোরাচালান চক্রের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, এই চোরাচালানের স্ট্রিং বাইরের দেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
এর আগে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই অপরাধীরা মাইক্রোসফট সফটওয়্যার ব্যবহারকারীদের ডেটার একটি তালিকা তৈরি করে, যাকে বলা হয় 'ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল'। বিভিন্ন গিফট কার্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করা হয়। অফিসে অনেক কম্পিউটার, উচ্চ মানের গ্যাজেট এবং উচ্চ শিক্ষিত মৃদু, মিষ্টিভাষী যুবক-যুবতীরা এই প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে।
No comments:
Post a Comment