শিক্ষিকাকে হেনস্থার অপবাদ! আত্মঘাতী স্কুল পড়ুয়া - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 8 June 2022

শিক্ষিকাকে হেনস্থার অপবাদ! আত্মঘাতী স্কুল পড়ুয়া

 


উত্তর-পূর্ব দিল্লির করাওয়াল নগর এলাকায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র আত্মহত্যা করল। মৃতের নাম অভিষেক (১৪)। স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। প্রসঙ্গত, স্কুলের আরেক ছাত্রের অভিযোগ, অভিষেক স্কুলের এক মহিলা শিক্ষিকাকে "হট" বলে ডেকেছিলেন। এ বিষয়ে তাকে ও তার পরিবারকে স্কুলে ডেকে হুমকি দেওয়া হয়। সেখানে অভিষেককে জোর করে টিসি কেটে দেওয়ার কথা ছিল। এরপর তাকে আর কোনো স্কুলে ভর্তি করানো হবে না বলেও জানানো হয়। এর পর ওই ছাত্র বাড়িতে পৌঁছে নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দেয়। পরিবারের অভিযোগ, শিক্ষকের হেনস্থায় অভিষেক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকরা বিষয়টি তদন্ত করার কথা বলছেন।


তথ্য অনুযায়ী, অভিষেক পরিবারের সঙ্গে জোহরিপুর, করাওয়াল নগর এলাকায় থাকতেন। তিনি তার বাবা অশোক কুমার, মা সুনিতা, বড় ভাই বিবেক এবং একটি ছোট বোন রেখে গেছেন। অশোক কুমার বেসরকারি চাকরি করেন। অভিষেক পাশের একটি সরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।


অশোক জানান, ৩ জুন অভিষেকের স্কুল থেকে ফোন আসে। অভিষেকের অভিযোগ, শিক্ষক পরিবারকে স্কুলে এসে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সকাল ৯টায় ফোন পেলাম। সকাল ১০টার দিকে অভিষেক তার ভাই বিবেককে নিয়ে স্কুলে পৌঁছায়। অভিযোগ, স্কুলের এক শিক্ষিকা বিবেককে বলেন যে অভিষেক স্কুলের মহিলা শিক্ষিকাকে "হট" বলে সম্বোধন করেছিল।


শিক্ষক প্রথমে অভিষেকের ভাইকে অভিযুক্ত করে ক্ষমা চেয়ে পাঠান। এরপর তিনি অভিষেকের নাম কেটে টিসি দেওয়ার কথা বলেন। ওই শিক্ষক আরো জানান, নাম কাটার পর তার ভর্তি আর কোথাও হবে না। এর পর বিবেক ও অভিষেক বাড়িতে আসেন।


বাড়িতে পৌঁছে খাওয়া-দাওয়া করে অভিষেক। এর পর দ্বিতীয় তলায় নিজের রুমে পৌঁছায় সে। কিছুক্ষণ পর চুন্নির সাহায্যে আলমারির পাইপে ঝুলে থাকতে দেখা যায় অভিষেককে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এর আগে স্কুলের এক শিক্ষক অভিষেকের বিরুদ্ধে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনেছিলেন। এরপর অভিষেকের বিরুদ্ধে অন্য ছাত্রের নির্দেশে গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে। অভিষেক কোনোভাবেই শিক্ষককে গালিগালাজ করার কথা অস্বীকার করেছিল। এখন পরিবার বিচার পাওয়ার কথা বলছে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad