মোবাইলে গেম খেলার নেশা প্রাণ কাড়ল স্কুল পড়ুয়ার। বড় ভাই ফোন ছিনিয়ে নেওয়ায়, রাগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় চতুর্থ শ্রেণির এক মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার আতরায়। এই সময় তাঁদের বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। ভাগ্নের জন্য তৈরি করা দোলনায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়ে সে।
আতরা থানা এলাকার সিভিল লাইনের বাসিন্দা গাড়িচালক পুরান ভার্মার পাঁচ সন্তান রয়েছে। কনিষ্ঠ নয় বছরের মেয়ে লক্ষ্মী বৃহস্পতিবার মোবাইলে গেম খেলছিল। তার বড় ভাই রানু (১২) নিজে গেম খেলার জন্য মোবাইল ছিনিয়ে নিতে চাইলে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। রানু অবশেষে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে নিজেই গেম খেলতে শুরু করে। ক্ষিপ্ত হয়ে লক্ষ্মী চলে যায় অন্য ঘরে। এদিকে গেমে মত্ত ভাই বুঝতেই পারে না, বোন ভিতরে কি করছে!
কিছুক্ষণ পরে, বড় বোন নিশা, যিনি খাবার রান্না করছিলেন, ঘরে গিয়ে দেখেন লক্ষ্মী ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। এটা দেখেই নিশা কেঁদে ফেলে। অন্য ভাই-বোনরাও কান্নাকাটি শুরু করলে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। লক্ষ্মীকে নামিয়ে সিএইচসিতে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বড় বোন নিশা জানান, লক্ষ্মী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ঘটনার সময় মা কালবতী বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। বাবা একজন ড্রাইভার। তিনি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। যদিও এসএইচও অনুপ দুবে বলেছেন, যে ঘটনাটি জানা নেই।
নিহতের বাবা জানান, লক্ষ্মী পড়াশনায় ভালো ছিল। বড় ছেলে বাইরে থাকে। সম্প্রতি স্ত্রীকে নিয়ে এসেছেন তিনি। লক্ষ্মী তার বৌদির কাছ থেকে সেলাই শিখেছে। দুদিন আগে সে তার মায়ের কাপড় সেলাই করেছিল।
পুরান ভার্মা জানান, বড় মেয়ে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে বাড়িতে এসেছেন। তার ছোট সন্তানের জন্য বাড়িতে একটি শাড়ির দোলনা রাখা হয়েছিল। লক্ষ্মী সেই শাড়ির দোলনায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ে। ঘটনার সময় বিবাহিত বড় মেয়ে, ১২ বছরের ছেলে রানু ও ১৫ বছরের শৈলেন্দ্র বাড়িতে ছিলেন।
No comments:
Post a Comment