একটা সময় শোনা যেত যে নির্মল মাজির অনুমতি ছাড়া রাজ্যের স্বাস্থ্য খাতে একটা পাতাও নড়ে না। তাঁর ক্ষমতা এতটাই ছিল যে, প্রতিদিনের হুমকি ও দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও তিনি স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। সেই নির্মল মাজিকে শেষ পর্যন্ত কোপ পড়ল। নির্মল মাজিরকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপরে তিনি নিজেকে একটি স্বচ্ছ ইমেজের প্রতীক বলে দাবী করলেন।
জানা গিয়েছে, শনিবার উলুবেড়িয়া বিধায়ক নিজেকে একজন ডাক্তার পরিচয় দিয়েছিলেন, যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বচ্ছতা-সততা-দায়িত্বের পরিপ্রেক্ষিতে কাটমানি-কমিশন-সিন্ডিকেট থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। টাকার পেছনে না দৌড়ে চিকিৎসকদের আরও ভালো সেবা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
শনিবার হাওড়া লাইব্রেরিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, "আমি নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সংসদ নই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বচ্ছতা-সততা-দায়িত্ব দেখে আমি কাটমানি-কমিশন-সিন্ডিকেট থেকে সরে এসেছি। দীর্ঘ 40 বছরের ফ্রির ডাক্তার আমি। আমার পরিবারে 22 জন ডাক্তার আছেন। তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডাক্তার হয়েছেন।"
এখন নির্মল মাঝির এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এর আগেও বহু বিতর্কে জড়িয়েছিল এই চিকিৎসক-বিধায়কের নাম। বিধায়ক থাকাকালীন তিনি বেশ কিছু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হিসেবে সবচেয়ে বিতর্কিত ছিল তার নাম। তবে তার সাম্প্রতিক বক্তব্যকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মনে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment