নবী বিতর্কে উত্তপ্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড়। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নূপুর শর্মাকে দল থেকেও বরখাস্ত করে দিয়েছে বিজেপি। কিন্তু তার পরেও অশান্তি থামার নামই নিচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন জামাত-উলেমা-ই-হিন্দ সভাপতি সুহেব কাসমি। তাঁর মন্তব্য, ইসলামিক রীতি মেনেই নূপুর শর্মাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিৎ।
রবিবার দিল্লীতে সাংবাদিক বৈঠক করেন সুহেব কাসমি। দেশজুড়ে যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তা সংগঠন সমর্থন করে না, বলেই স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, 'এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিৎ নয়। ইসলামে বিশ্বাস থাকলে নূপুরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিৎ।' কাসিম বলেন, 'নূপুর শর্মার মন্তব্য অবমাননাকর হলেও শুক্রবার জুমার নামাজের পর যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার সঙ্গে একেবারেই একমত নই আমরা।'
নূপুর শর্মাকে বিজেপির বরখাস্তের সিদ্ধান্তকেও স্বাগত জানান সুহেব কাসমি। তিনি বলেন, "নূপুর শর্মাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমরা নিজের হাতে আইন তুলে নেব না। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো, আইন ভঙ্গের অধিকার আমাদের নেই।"
এর পাশাপাশি, যে বা যারা অশান্তি ও সহিংসতা ছড়ানোয় যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান কাসমি। আসাদুদ্দিন ওয়াইসি, মহম্মদ মাদানির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি এবং যে যে সংগঠন হিংসায় ইন্ধন যুগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কড়া পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে জামাত-উলেমা-ই-হিন্দ।
প্রসঙ্গত, নবী বিতর্কে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সহিংস আন্দোলন দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গ উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ভারতকে। হুমকি মূলক চিঠিও আসে। চূড়ান্ত অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
No comments:
Post a Comment