ভবানীপুরে জোড়া খুনের জবাব খুঁজছে পুলিশ। সম্ভবত ফরেনসিক দল আজ, মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পারে। ইতিমধ্যেই গুজরাটি দম্পতির খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। এ অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোক শাহের গলা ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তার স্ত্রী রশ্মিতা শাহের মাথায় গুলি লেগেছে।
সূত্রের খবর, এই ফ্ল্যাট বিক্রির পরিকল্পনা করেছিলেন অশোক শাহ। ফলে দালালরা আসা-যাওয়া করতে থাকে। গত সপ্তাহে একজন ক্রেতাও এসেছিলেন। সোমবার রাতে স্থানীয় এক দালালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ তাকে সকালে ফিরে আসতে বলেছে। রাতে গৃহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে ঘটনার দিন তিনি কাজে আসেননি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
গুজরাটি দম্পতির তিন মেয়ে রয়েছে। দুই মেয়েই বিবাহিত। তাদের সাথে থাকত এক মেয়ে। ইতিমধ্যেই দুই মেয়ে স্নেহা ও দিশার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার রাতে জামশেদপুর থেকে এসেছিলেন বড় মেয়ে। জানা গেছে, বাগরি মার্কেটে অশোক বাবুর টর্চ লাইটের ব্যবসা ছিল। শেয়ারবাজারেও কাজ করেছেন। ২০০৫ সালে যে ফ্ল্যাটে মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল সেখানে তিনি এসেছিলেন। এলগিন রোডে ভবানীপুর কলেজের পাশে থাকতেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে 3টার দিকে বাড়িতে ফোন করেন মেজ মেয়ে স্নেহা শাহ। কেউ ফোন ধরেনি। বাবার মোবাইলে ফোন করতে থাকে। রিং হয়। মায়ের মোবাইল বন্ধ থাকে। তিনি ৬টা ২০ তে বাড়িতে আসেন। এসে দেখেন লোহার গেট খোলা। কাঠের দরজাটা একটু ভেজানো ছিল। ভেতরে প্রবেশ করে দুটি কক্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় দুটি দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। স্নেহা জানান, তার মায়ের হাতের, গলার গয়না মিসিং।
হাই সিকিউরিটি জোনে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা স্থানীয় লোকজনকে হতবাক করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা আরও বলেন, তারা খুবই নিরীহ মানুষ। তিনি বলেন, কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা ছিল না। তবে, প্রতিবেশীরা ভাবছেন আসলেই কী এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা লুটপাটের জন্য নাকি ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment