কোচবিহার: চাকরি খোয়াতেই বিয়ের দাবীতে ধর্নায় বসেছিলেন। তিন দিনের ধর্নার পর অবশেষে স্বামীর সংসার পেলেন বরখাস্ত শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা এলাকা। কলেজের সেই অতিথি শিক্ষকের বাড়িতেই আইনজীবীর উপস্থিতিতে রেজেস্ট্রি ম্যারেজের কাগজে স্বাক্ষর করলেন যুগল। টানটান উত্তেজনার পর ঘটনার এমন মধুর সমাপণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারান প্রাথমিকের ২৬৯ জন। তার মধ্যে একজন ছিলেন মাথাভাঙার এই যুবতী। অভিযোগ, চাকরি হারানোর পর থেকেই তার সঙ্গে আর দেখা করতে চাইছিলেন না প্রেমিক তথা নিশিগঞ্জ কলেজে কর্মরত ওই অতিথি শিক্ষক।
কোনও উপায় না দেখে সোমবার রাতেই ওই শিক্ষকের বাড়িতে হাজির হন যুবতী। দরজা ধাক্কাতেই ঘর থেকে বেরিয়ে এসে লোকজন দেখেন, বাড়ির সামনে বসে রয়েছেন ওই যুবতী। তার দাবী যতক্ষণ না বিয়ে হচ্ছে, ততক্ষণ তিনি সেখান থেকে উঠবেন না। যুবতীর দাবী, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এমনকি শারীরিক সম্পর্কও হয়েছিল, যদিও ওই শিক্ষকের পরিবারের দাবী, তাদের ছেলের সঙ্গে এই যুবতীর প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেই।
ওই শিক্ষকের মায়ের দাবী, এক ঘটকের মাধ্যমে প্রায় দুই সপ্তাহ আগেই যুবতীর সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ হয় তাঁর ছেলের। এর চেয়ে আর বেশি কিছু নয়। চাকরি চলে যাওয়ায় মেয়েটি তাঁর ছেলেকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে, বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে সুযোগ বুঝে গা ঢাকা দিয়েছিলেন প্রেমিক বাবাজি।
এদিকে, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পাশাপাশি বিভিন্ন মহলে শোরগোল, আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। জানা গিয়েছে, এরপরই উভয় পক্ষের অভিভাবকরা দফায় দফায় আলোচনা সারেন। শেষমেষ প্রেমের জয়, সর্বসম্মতিক্রমে বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি পেপারে স্বাক্ষর করেন যুগল। সূত্রে খবর, খুব শিগগিরই সামাজিক ভাবে বিয়েটাও সেরে ফেলবেন তারা।
No comments:
Post a Comment