বিধানসভায় সাত বিজেপি বিধায়কের ওপর থেকে উঠে গেল সাসপেনশন। বৃহস্পতিবার সাসপেনশন প্রত্যাহার করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিজেপি বিধায়কদের সাসপেনশন প্রত্যাহার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন তিনি।
সাতজন বিধায়কের সাসপেনশন নিয়ে আগেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বিচারপতির নির্দেশ দেন বিধানসভায় সাসপেনশন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পেশ করতে। সেইমতোই সোমবার প্রস্তাব আনা হয়। কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, যে প্রস্তাব আনা হয়েছে তা ত্রুটিপূর্ণ, তাই মঙ্গলবার সকাল দশটার মধ্যে নতুন প্রস্তাব জমা দিতে। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলেও বিজেপির তরফে এদিন কোনও প্রস্তাব জমা পড়েনি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোমবারে স্পষ্ট করেছিলেন আদালতের নির্দেশ মতোই তারা চলবেন।
সূত্রের খবর, সেই অনুযায়ী এদিন অগ্নিমিত্রারা অধ্যক্ষের কাছে মোশন জমা দেন। তারপরে বিজনেস অ্যাডভাইজারি (বিএ) কমিটির বৈঠকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের পক্ষে সদস্যরা মত দেন।
এই প্রসঙ্গে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিধানসভার সমস্যা বিধানসভাতে মেটানো যায়। আমি বলেছিলাম যথাযথভাবে আবার প্রস্তাব আনা হোক।'
প্রসঙ্গত, গত বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ সাতজন বিজেপি বিধায়ককে নিয়মভঙ্গের দায়ে বরখাস্ত করা হয়। বাদল অধিবেশন আলোচনা চলাকালীন একপ্রকার হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা। সেই সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সাতজন বিজেপি বিধায়ককে বরখাস্ত করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও সেই তালিকায় ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মিহির গোস্বামী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মণ ও নরহরি মাহাতো।
সেই মামলা হাইকোর্টে পৌঁছালে, আদালতে জানিয়ে দেয়, বিধানসভার বিধি মেনেই ওই সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে হবে। সেইমতো বিধায়করা বিধানসভাতেই আবেদন জানান। শেষ পর্যন্ত তাদের ওপর থেকে উঠে গেল সাসপেনশন।
No comments:
Post a Comment