২০১৪ টেট দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। ২০১৭ নিয়োগ তালিকা বেআইনি ঘোষণা করল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। সেই মর্মে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার নির্দেশ আদালতের। শুধু তাই নয়, তাদের বেতন বন্ধের এবং স্কুলে প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বহু মামলা সিবিআই-এর কাছে গিয়েছে। এবার টেট দুর্নীতি মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের।
২০১৭ সালে প্রকাশিত দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা এবং সেই অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়াটিকে কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনি ঘোষণা করল। এ জন্য ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, স্কুলে ২৬৯ জনের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা, বেতনও বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ তার নির্দেশে এমনটাই জানিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও চেয়ারম্যানকেও আজ সোমবার হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫ টার মধ্যে সিবিআই-এর সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে।
অপরদিকে, ২৬৯ জনকে কেন অতিরিক্ত ১ নম্বর দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ, যারা নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করেছিলেন। পর্ষদের তরফে বলা হয়েছিল পরীক্ষায় একটি প্রশ্নে কিছু ভুল ছিল তাই এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এটি কলকাতা হাইকোর্টের তরফে জানতে চাওয়া হয়, ২৬৯ জনই কেন শুধু বাড়তি এক নম্বর পেল, বাকিরা কেন নয়?
পাশাপাশি বিচারপতি এও জানান, প্রাইমারিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, মামলাকারীরা তা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ।
No comments:
Post a Comment