যেকোনো নদীর পরিচয় হল তার স্রোত, তার প্রশস্ত তীর। নদীগুলি প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর আশীর্বাদগুলির মধ্যে একটি। তবে সবচেয়ে বড় নদীটিও একটি খুব ছোট স্রোত দিয়ে শুরু হয়। আজকের এই পর্বে আমরা এমন একটি নদীর কথা বলব।যাকে বলা হয় বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এই নদীর দৈর্ঘ্য ৬৪০০ কিলোমিটারের বেশি এবং এই নদীটি নয়টি দেশে প্রবাহিত।
আমরা আমাজন নদীর কথা বলছি, যখনই আমরা পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর কথা বলি তখনই আমাদের মাথায় আসে নীল নদ। কিন্তু যখন মিঠা জলের কথা আসে তখন প্রথম নামটি আসে আমাজন নদী । এই নদীতে এমন অনেক প্রাণীর বাস, যাদের সম্পর্কে আমরা খুব কমই পড়েছি বা দেখেছি, তা ছাড়া এখানে প্রচুর ডলফিনও পাওয়া যায়। আপনি এই নদীর দৈর্ঘ্য অনুমান করতে পারেন যে এটি দক্ষিণ আমেরিকার ৪০ শতাংশ জুড়ে বিস্তৃত। নয়টি দেশের কথা বললে বলিভিয়া, ব্রাজিল, পেরু, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, ভেনিজুয়েলা, ফ্রেঞ্চ গায়ানা, গায়ানা ও সুরিনাম প্রভৃতি দেশের মধ্য দিয়ে এই নদী প্রবাহিত,কিন্তু তবু এই নদীতে সেতু নির্মাণ করা হয়নি।
এ কারণে সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি
এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সুইস ফেডারেল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চেয়ারপার্সন ওয়াল্টার কফম্যান, লাইভ সায়েন্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে নদীটি যেখানে শুরু হয় এবং যেখানে এই নদীটি প্রবাহিত হয় সেই পথগুলিতে সেতুর প্রয়োজন নেই, কারণ নদী যে জায়গাগুলোর মধ্য দিয়ে যায় সেখানে জনসংখ্যা খুবই কম বা নগণ্য। এ ছাড়া এসব শহরে বসবাসকারীদের পারাপারের জন্য সেতুরও প্রয়োজন হয় না।
ওয়াল্টার কফম্যান তার সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, এই নদীর তীরের মাটি খুবই নরম, তাই এখানে সেতু নির্মাণ করলে অনেক খরচ হবে। সেজন্য দেশের বেশির ভাগ সরকারই সেতু নির্মাণ নিয়ে একই কথা ভেবেছে, মানুষের প্রয়োজন না হলে অহেতুক টাকা খরচ করে কী লাভ।
No comments:
Post a Comment