সম্পর্কে থাকার পর সঙ্গীর সঙ্গে ঝগড়া হয় না, এমনটা হতে পারে না। একসাথে থাকার সময় উভয়ের একটি বিষয়ে একমত হওয়া জরুরী নয়। প্রায়ই দেখা গেছে, দুই পার্টনারের একজনের অন্যজনের কথায় খারাপ লাগলে ঝগড়া বাড়ে, কিন্তু দুজনের একজন চুপ থাকলেই ঝগড়া বন্ধ হয়ে যায়।
রেগে যাওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কিন্তু রেগে গেলে মেজাজ হারানো, নিয়ন্ত্রণহীন হওয়া উভয়ের সম্পর্ক এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা জানাও জরুরি। তাই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি।
# একটি দীর্ঘ ও গভীর শ্বাস নিন -
আপনি যখন মনে করেন যে আপনি রেগে যাচ্ছেন এবং এটি যে কোনও মুহূর্তে ফেটে যেতে পারে, তখন একটি পদক্ষেপ পিছিয়ে নেওয়া দরকার। দীর্ঘ এবং গভীর শ্বাস নিন। যখনই আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে কথা বলবেন, তিনটি গভীর শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে কথা বলুন, চিৎকার করবেন না, কারণ উচ্চ শব্দ সবসময় রাগের প্রকাশ করে।
# প্যাটার্ন বুঝে নিন -
দুজনের মধ্যে কী নিয়ে ঝগড়া হয় তা বুঝে নিন এবং খেয়াল করুন। এতে রাগ জাগবে না। এমন জিনিসগুলি এড়িয়ে চলুন, যার ফলে উভয়েরই মেজাজ নষ্ট হয়ে যায়। প্যাটার্ন বুঝতে পারলে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যাবে ।
# অনুভূতি প্রকাশ করা -
মনের মধ্যে চাপা অনুভূতি রাগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনার সঙ্গীর সাথে আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন। অতীতের সমস্ত জিনিস শেয়ার করুন, যা আপনার খারাপ লেগেছে। আপনার অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য আপনি অনেক উপায় ব্যবহার করতে পারেন।
# রাগের পরের পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করুন -
রাগ করে করা যেকোনো কাজ পরে অনুশোচনা ছাড়া কিছুই দেয় না। এত রাগ করবেন না যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। তাই রাগ করে খারাপ কিছু বলার আগে তার পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করুন।
# রাগে আলিঙ্গন করা দুর্দান্ত বিকল্প -
কাউকে জড়িয়ে ধরলে খুশির হরমোন নিঃসৃত হয়। এ ছাড়া এটি স্নায়ুকে শান্ত করতেও সাহায্য করে। সঙ্গী যখনই রেগে যায়, তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরুন। তার উপর চিৎকার এবং রাগ করার পরিবর্তে, "যাদু কি ঝাপ্পি" রাগকে সবচেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রণ করে।
No comments:
Post a Comment