দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে পৌঁছেছে বর্ষা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত কয়েকদিনে দক্ষিণের অনেক এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, এ বছর দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রভাব তুলনামূলক কম হবে। তবে আগামী কয়েকদিনে দক্ষিণের অনেক জেলায় ভারী বর্ষণ হতে চলেছে। এছাড়াও কোথাও কোথাও বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করছে বাংলার মানুষ। উত্তরবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষার কারণে সেখানে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের মজুদ শূন্য। অবশেষে গত শনিবার এল বৃষ্টি। কলকাতা, হাওড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, বর্ধমান, দুই চব্বিশ পরগনা ও মেদিনীপুরের অনেক জায়গায় বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 34 ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 26 ডিগ্রি সেলসিয়াস হবে। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা 79%।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রভাব আগের বছরের তুলনায় এবার কম হতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তরবঙ্গে বর্ষা অব্যাহত থাকায় এর প্রভাব পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে আগামী কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে এবং আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বর্ষার প্রভাবে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বন্যা ও ভূমিধসের সতর্কতাও জারি করা হয়। ভারী বৃষ্টিতে দার্জিলিং, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ির অনেক জায়গায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে আগামীতে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাত কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
No comments:
Post a Comment