শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে ক্রমাগত অভিযোগে ঘেরা হচ্ছে। এখন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তার দেহরক্ষীর আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলার শুনানি করার সময়, রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জির দেহরক্ষী বিশ্বম্ভর মণ্ডলের 10 'আত্মীয়'-কে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন। পার্থ চ্যাটার্জির ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামী 10 আগস্ট এ বিষয়ে আবার শুনানি হবে।
রমেশ মালিক নামে এক প্রাথমিক শিক্ষকের মামলার ভিত্তিতে গত শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে একটি হলফনামা জমা দেওয়া হয়। এতে বিশ্বম্ভর মণ্ডলের 10 জন 'আত্মীয়'-এর নামও রয়েছে, যারা প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
চাকরি প্রত্যাশীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, "একই পরিবারের এত সদস্য কীভাবে এক বছরে প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে চাকরি পেলেন?" বিশ্বম্ভরের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের চাঁদিপুর থানার দিবাকরপুর পঞ্চায়েতের প্রথম ব্লক জলপাই গ্রামে। তবে বর্তমানে তিনি কলকাতায় থাকেন। জানা গেছে, বিশ্বম্ভর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়েই বিশ্বম্ভরের স্ত্রী রীনা, তাঁর দুই ভাই বংশীলাল ও দেবগোপাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান।
অভিযোগ রয়েছে, বিশ্বম্ভর মণ্ডলের মামাতো বোন পূর্ণা মণ্ডল, মামাতো ভাই গায়ত্রী মণ্ডল, মেসোমশাই ভীষ্মদেও মণ্ডল, ভাই জামাই সোমনাথ পণ্ডিত, শ্যালক অরূপ ভৌমিক, ভগ্নিপতি অঞ্জনা মণ্ডল, প্রতিবেশী অমলেশ রায়ও শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। সোমবার তাদের সবাইকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারক অভিজিৎ গাঙ্গুলিও রাজ্য সরকারকে 21 জুলাই পর্যন্ত শিক্ষকদের শূন্য পদের সংখ্যার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment