মাটি প্রস্তুত
সাধারণত দোআঁশ মাটি ফুল চাষের জন্য বেশি উপযোগী। যে জমিতে ফুল চাষ করা হবে সে জমি যেন নিচু না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩ ঘণ্টার মধ্যে জমিতে লাঙল দিয়ে মাটি তৈরি করতে হয়। মাটি চূর্ণবিচূর্ণ এবং ছোট হওয়া উচিৎ। চূড়ান্ত চাষের আগে জমিতে সার দেওয়া ভালো। শেষ চাষের আগে মাটিতে যেকোনও কীটনাশক যোগ করতে হবে। তারপর মাটি সমান করুন। জমিকে গাঁদা চাষের উপযোগী করে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
গাছ লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যেদিন গাছটি হাতে আসবে সেদিনই চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করতে হবে। চারা রোপণের এটাই উপযুক্ত সময়। সূর্যের তাপ কমে গেলে বিকেলে বীজ বপন করতে হবে। চারা রোপণের জন্য সারি থেকে সারির দূরত্ব হবে দুই হাতের। এছাড়াও, একটি চারা থেকে অন্য চারার দূরত্ব হবে ৬ ইঞ্চি। গাছ বাঁচাতে চারা রোপণের আগে একটি পাত্রে দুই চামচ "Dithane M-45" জলে মিশিয়ে চারাগুলো জলে ভিজিয়ে ৫/৬ মিনিট পর তুলে ফেলুন। এতে গাছের মৃত্যুর হার কমবে।
রোপণের ৮ থেকে ১০ দিনের জন্য কিছুই করার দরকার নেই। তারপর জমি শুকিয়ে গেলে জল দিতে হবে। তবে মাঝে মাঝে গাছে জল না দেওয়াই ভালো। সাধারণত সকালে বা সন্ধ্যার আগে জল দেওয়া হয়। কারণ এ সময় প্রখর সূর্যালোকে পৃথিবীর মাটি উত্তপ্ত হয়। সেক্ষেত্রে জমিতে জল দেওয়া হলে গাছের ক্ষতি হয়। গাছ মরতে পারে। তাই মাটি ঠান্ডা হলেই জল দিতে হবে। ১৫ থেকে ২০ দিন পর গাছ মাটির সাথে লেগে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। এরপর থেকে গাছে ওষুধ ও সার দিতে পারেন।
গাছ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছে ওষুধ ও সারের পরিমাণও বাড়াতে হবে। এছাড়াও গাছের গোড়ায় বেশি করে মাটি দিতে হবে। পোকামাকড়ের উপদ্রব কমাতে কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ভালো মানের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
No comments:
Post a Comment