হিন্দু ধর্মে স্বস্তিকের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে।স্বস্তিক অবশ্যই প্রতিটি শুভ কাজে ব্যবহৃত হয়। একে গণপতির প্রতীকও মনে করা হয়।
সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় তৈরি করা স্বস্তিকা অত্যন্ত শুভ। এমনকি বাস্তুশাস্ত্রেও বাড়ির মূল প্রবেশদ্বারে স্বস্তিক তৈরি করা ভালো বলে মনে করা হয়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, বাড়ীর প্রধান দরজায় স্বস্তিক তৈরি করার সময় কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ।
প্রধান দরজায় সর্বদা সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন বানান। সিঁদুরের তৈরি স্বস্তিক ঘরে সুখ-সমৃদ্ধির পথ খুলে দেয়।
মূল দরজায় স্বস্তিক তৈরি করলে, খেয়াল রাখতে হবে দরজা যেন ধুলো-মাটি দিয়ে নোংরা না হয়।
প্রধান ফটকে স্বস্তিকা বানানোর পর খেয়াল রাখতে হবে আশেপাশে যেন জুতো-চটি যেন না থাকে।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাস্তু দোষ কমাতে বা দূর করতে নয়টি আঙুল লম্বা ও চওড়া স্বস্তিক তৈরি করা ভালো।
বাড়ির সামনে যদি কোনও গাছ বা স্তম্ভ দেখা যায় তবে তা নেতিবাচক শক্তির প্রতীক।এর অশুভ প্রভাব রোধ করতে প্রতিদিন প্রধান ফটকে একটি স্বস্তিক বানান শুভ বলে মনে করা হয়।
মূল ফটকে তৈরি স্বস্তিকের চারপাশে পিপল, আম বা অশোক পাতার মালা বেঁধে দিন।
মূল দরজা ছাড়াও বাড়ির উঠনের মাঝখানে একটি স্বস্তিক চিহ্ন বানাতে পারেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এর কারণে, পূর্বপুরুষরা উঠানে বাস করে এবং তাদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
No comments:
Post a Comment