বিজেপির ফায়ারব্র্যান্ড নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংও সন্ত্রাসীদের টার্গেটে। একটি আইবি রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে যে অনেক বিজেপি নেতা সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যে রয়েছেন। এর মধ্যে গিরিরাজ সিংয়ের নাম বলা হচ্ছে শীর্ষে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফেও এর তথ্য জারি করা হয়েছে, সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসান তাদের ম্যাগাজিনের নতুন সংস্করণে বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার কথা লিখেছে। হামলার কথা লেখার পর এই সন্ত্রাসী সংগঠন তাদের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ারও করেছে। এর আগেও ফোনে হুমকি পেয়েছিলেন গিরিরাজ সিং।
গিরিরাজ একমাত্র মন্ত্রী নন যিনি ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু, বিজেপি ও বিহার বিজেপির অনেক নেতার নাম সন্ত্রাসীদের তালিকায় রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ নিয়ে বিহার পুলিশ সদর দফতর সব জেলার এসপিদের সতর্ক থাকতে বলেছে। এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতরের জারি করা চিঠি অনুসারে, 'খোরাসান ডায়েরি' 14 জুলাই ট্যুইটারে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের (আইএসকেপি) কভার পেজ শেয়ার করেছে। যার ওপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। ভয়েস অফ খোরাসান ম্যাগাজিনে বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কভার পেজ ও বিবৃতি প্রকাশের পর যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিশকে সতর্কতামূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিহারে বিজেপির 17 জন সাংসদ রয়েছে। তাদের মধ্যে গিরিরাজ সিং এবং অশ্বিনী চৌবেও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী। এর সাথে, হরিভূষণ ঠাকুর বাচাউল, সঞ্জীব চৌরাসিয়া, গিরিরাজ সিং এবং অশ্বিনী চৌবে, এই সমস্ত নেতারা সর্বদা হিন্দুত্ব নিয়ে সোচ্চার। এর পাশাপাশি বিহার বিজেপির রাজ্য সভাপতি ডঃ সঞ্জয় জয়সওয়াল এবং রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক ঠাকুরও তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে মৌলবাদীদের নিশানা করছেন। সম্প্রতি, অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে হট্টগোলের মধ্যে, অনেক বিজেপি নেতাও ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়েছেন।
No comments:
Post a Comment