উত্তরপ্রদেশে একাধিক খুনের ঘটনা গোটা এলাকায় আলোড়ন তুলেছে। অন্যদিকে রাজ্যের আগ্রা জেলা থেকেও একটি চাঞ্চল্যকর খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। এক যুবককে খুনের পর তার দেহ পুড়িয়ে ফেলা হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অর্ধদগ্ধ দেহটি চিতা থেকে বের করে। আশ্চর্যের বিষয় হল নিহত যুবককে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার বাবা-মা ও ভাই-বোনের বিরুদ্ধে। তারা সবাই মিলে প্রথমে তাকে খুন করে তারপর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে।
তথ্যমতে, সাইয়া থানা এলাকার ছাউড়ি গ্রামে ছেলেকে খুনের পর রাতেই তার দেহ পুড়িয়ে ফেলার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে জ্বলন্ত চিতা নিভিয়ে অর্ধদগ্ধ দেহটি নিজেদের দখলে নেয়। অন্যদিকে নিহত নেপাল সিংয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন অভিযোগ করেছেন, নেপালকে তার বাবা-মা ও ভাইবোন মিলে খুন করেছে। খুনের পর সবাই মিলে নেপাল সিংয়ের মরদেহ পুড়িয়ে দেয়। তবে পুরো বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
পুলিশ যখন শ্মশানে পৌঁছায়, তখন নেপাল সিংয়ের চিতা জ্বলছিল। পুলিশ ও কয়েকজন মিলে চিতাটি নিভিয়ে অর্ধদগ্ধ দেহটি পুলিশ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মাসহ অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে নেপালের বাবা-মাসহ ভাই-বোনেরা বাড়ি থেকে পলাতক রয়েছে। বলা হচ্ছে, টাকা নিয়ে বিবাদে খুন হয়েছেন নেপাল সিং। কিছুকাল আগে নেপাল সিং জমি বিক্রি করে টাকা নিয়ে এমন বিরোধ হয় যে তার নিজের লোকজন তার প্রাণ কেড়ে নেয়। নিহত নেপাল সিংকে যখন খুন করা হয়, তখন তার স্ত্রী বাবারবাড়িতে ছিলেন। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment