মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে রসায়নবিদ উমেশ কোলহে খুনের মূল অভিযুক্তকে নাগপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ইরফান খান (৩৫) সহ ৭ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইরফান খানকে এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বলা হচ্ছে। ইরফান খান একটি এনজিও চালায়। নূপুর শর্মাকে সমর্থন করার জন্য রসায়নবিদকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল ইরফান এবং সেই পুরো পরিকল্পনা করেছিল। অমরাবতীর সিটি কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক নীলিমা আরজ জানিয়েছেন, উমেশ কোলহে হত্যা মামলায় নাগপুর থেকে ৭ নম্বর গ্রেপ্তারি করা হয়েছে।
পুলিশের মতে, ৫৪ বছর বয়সী রসায়নবিদ উমেশ প্রহ্লাদরাও কোলহেকে ২১শে জুন খুন করা হয়েছিল এবং এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালাল নামে এক দর্জিকে হত্যার এক সপ্তাহ আগে।
অমরাবতী সিটি কোতোয়ালির এক আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, "উমেশ কোলহে অমরাবতী শহরে একটি মেডিক্যাল স্টোর চালাতেন। তিনি নূপুর শর্মার সমর্থনে মন্তব্য করার জন্য কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ভুলবশত পোস্টটি শেয়ার করেছেন একটি গ্রুপে, যাতে কিছু মুসলমানও সদস্য ছিল, তার গ্রাহক সহ।
পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, প্রধান অভিযুক্ত ইরফান খান, উমেশকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল এবং এর জন্য লোকজনকে জড়িত করেছিল। বাকি পাঁচ অভিযুক্তকে ১০ হাজার টাকা এবং পালানোর জন্য একটি গাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইরফান খান।
ঘটনাটি ঘটে ২১ জুন রাত ১০ থেকে ১০.৩০ এর মধ্যে, যখন উমেশ তার দোকান বন্ধ করে তার বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় উমেশের ছেলে সংকেত ও স্ত্রী বৈষ্ণবী তার সঙ্গে অন্য একটি বাইকে হাঁটছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, উমেশ মহিলা কলেজের গেটের কাছে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই পিছন থেকে দুই বাইকচালক এসে উমেশের পথ আটকে দেয়। এক যুবক বাইক থেকে নেমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উমেশের গলায় আঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত উমেশ রাস্তায় পড়ে যায়। এর পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে অমরাবতীর ডিসিপি বিক্রম সালি জানিয়েছিলেন যে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই অভিযুক্তরা হল মুদাসির আহমেদ (২২), শাহরুখ পাঠান (২৫), আব্দুল তৌফিক (২৪), শোয়েব খান (২২), আতিব রশিদ (২২) এবং আরও একজন। অভিযুক্তরা সবাই অমরাবতীর বাসিন্দা। পুলিশ ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি বাজেয়াপ্ত করেছে এবং পুরো ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে। একই সঙ্গে এসপি আরতি সিং জানিয়েছেন, খুনের সঠিক কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment