বৃষ্টির দিনে আমাদের কি দই বা অন্যান্য টক খাবার খাওয়া উচিত। বিশ্বের প্রাচীন চিকিৎসা বিজ্ঞান আয়ুর্বেদ এ সম্পর্কে কী বলে? আপনি এই সম্পর্কে জানতে হবে.
বর্ষায় পেটের হজমের আগুন কমে যায়
আয়ুর্বেদ পৃথিবীর প্রাচীনতম প্রাকৃতিক চিকিৎসা বিজ্ঞান। অ্যালোপ্যাথিতে যেখানে বলা হয় অসুস্থ হওয়ার পর কোন ওষুধ খেতে হবে। একই সাথে, আয়ুর্বেদে, অসুস্থ হওয়া এড়াতে কোন পদ্ধতি বা ওষুধ ব্যবহার করতে হবে সে সম্পর্কেও জ্ঞান রয়েছে। তদনুসারে, আয়ুর্বেদ আমাদের বলে যে কীভাবে শরীরকে ফিট রাখা যায় এবং এর চিকিত্সা করা যায়। আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে, বর্ষাকালে পাকস্থলীর হজম শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে এমন জিনিস খাওয়া উচিত, যা আমাদের শরীরে উষ্ণতা দেয় এবং হজমে সাহায্য করে।
বৃষ্টিতে টক ও মসৃণ খাবার এড়িয়ে চলুন
এই কারণেই বর্ষায় দই, আচার বা অন্যান্য টক জিনিস খাওয়া নিষিদ্ধ। একইভাবে চর্বিযুক্ত জিনিস এড়িয়ে চলতেও বলা হয়। এই সব জিনিস বর্ষাকালে শ্লেষ্মা তৈরি করে, যার ফলে কাশি হয়। এছাড়াও, এই সব জিনিস সহজে হজম হয় না। বর্ষার দিনে এই জিনিসগুলি খেলে গলাব্যথা, খসখসে ভাব, পেট ফাঁপা এবং জ্বরের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই আয়ুর্বেদে বর্ষাকালে এগুলো এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
গরম মশলা বেশি ব্যবহার করুন
আয়ুর্বেদে বলা হয়েছে বৃষ্টির দিনে শরীর গরম রাখতে আদা, শুকনো আদা, হিং, কালো গোলমরিচ এবং গম খেতে হবে। শরীরের খুঁত দূর করতে বর্ষায় টক ও মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই কারণেই এই দিনে ঘি ও গমের আটার তৈরি মিষ্টি বেচারি প্রচুর খাওয়া হয়। এই দুটির প্রভাবকে গরম বলে মনে করা হয়, যা শরীরের অভ্যন্তরীণ অংশগুলিকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে।
আদা, লবঙ্গ, এলাচ
বর্ষাকালে অনেক তিজ-উৎসব আসে, যাতে তৈরি করা মিষ্টিতে আয়ুর্বেদের নীতির যত্ন নেওয়া হয়। এ সময় তৈরি করা মিষ্টি ও লাড্ডুতে মাখানা, চিরঞ্জি, তরমুজের বীজ, নারকেল ও পদ্মের বীজ ব্যবহার করা হয়। এই ঋতুতে জন্মাষ্টমীতে সব বীজ থেকে তৈরি মিষ্টি ও প্রসাদ খুব পছন্দ হয়। এই দিনগুলিতে আদা, লবঙ্গ সহ অন্যান্য গরম মশলা খাওয়ার পরিমাণও বাড়ানো হয়, যাতে বর্ষায়ও আমাদের শরীর যথেষ্ট পুষ্টি পায়।
No comments:
Post a Comment