আগেকার দিনে যখন বাজারজাত এমন ফেসওয়াস, স্ক্রাব ইত্যাদি ছিল না, তখন মহিলারা মুখ পরিষ্কার করার জন্য বেসনের বিভিন্ন ধরণের ফেসপ্যাক লাগাতেন। মুখে বেসন লাগানোর এত উপকারিতা রয়েছে যে দামি সব ফেসওয়াশও এর সামনে ব্যর্থ হয়। জেনে নিন মুখের যে কোনও সমস্যার জন্য বেসন কীভাবে ব্যবহার করবেন-
ফর্সা হওয়ার ফেস প্যাক
আপনি যদি মুখে ফর্সা ভাব আনতে চান, তাহলে এক সপ্তাহের মধ্যে বেসনের এই ফেসপ্যাকটি উজ্জ্বলতা আনবে। এর জন্য একটি বড় চামচ বেসন, ১ চিমটি হলুদ এবং কাঁচা দুধ মিশিয়ে পাতলা পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাকটি মুখে ১৫ মিনিটের জন্য লাগিয়ে রাখুন এবং হালকাভাবে ঘষে পরিষ্কার করুন। ৮-১০ দিনের মধ্যে আপনি ফর্সা চেহারা পেতে শুরু করবেন। তবে এই প্যাকটি ব্যবহারের সময় কোনও সাবান বা ফেসওয়াশ লাগাবেন না।
মুখের লোম তুলতে
কাঁচা দুধ বা দই এবং আধা চা চামচ তুষ ১ টেবিল চামচ বেসনে মেশান। খুব হালকা হাতে এই স্ক্রাবটি অ্যান্টি ক্লক ওয়াইজ ঘষুন। এতে ধীরে ধীরে মুখের লোম উঠে যাবে এবং মুখ পরিষ্কার হবে।
বেসনের উপকারিতা কি কি?
১- বেসন একটি প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটরের মতো কাজ করে, যা মুখে বা যেকোনও অংশে লাগালে সেখানকার মৃত কোষগুলোকে সরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে।
২- বেসন এবং হলুদের ফেসপ্যাক ফর্সা ভাব আনতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকরী প্যাক। এর ক্রমাগত ব্যবহারে মুখ পরিষ্কার হয়ে যায়।
৩- বেসন ট্যানিং বিরোধী, যা লাগালে মুখ, হাঁটু, ঘাড় ও হাতের কালো দাগ দূর হয় এবং মুখের ত্বকের মতই দেখায়।
৪- বেসন এবং হলুদের পেস্ট প্রাকৃতিক মোম হিসাবে কাজ করে। টানা কয়েকদিন ব্যবহার করলে লোম পরিষ্কার হয়ে যায়।
৫- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দুধ, দই, মধু, অ্যালোভেরা জেলের সাথে বেসন মিশিয়ে লাগান, এতে শুধুমাত্র উপকার পাওয়া যায় এবং কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
No comments:
Post a Comment