শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এবার যুক্ত হল উত্তরবঙ্গ তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর নাম। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। সেখানে তদন্তকারীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছেন। এর মধ্যে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে অনন্তদেব অধিকারীর পাঠানো সুপারিশপত্রও পাওয়া গেছে, যাতে তিনি চাকরির সুপারিশ করেছিলেন। সেই সুপারিশপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। যদিও অনন্তদেব বলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাকে পাঁচটি নাম সুপারিশ করতে বলেছিলেন, কিন্তু তার সুপারিশে কেউ চাকরি পাননি। এখন এই সুপারিশপত্র বেরিয়ে আসার পরে, এটি রাজ্যে আলোচনার বিষয়।
সূত্রের খবর, গত শনিবার (২৩ জুলাই) প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। সেখানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে ময়নাগুড়ির প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারীর প্যাডে পাঁচটি নামের সুপারিশের চিঠিও পাওয়া গেছে।
সূত্রের দাবী, এসএসসির গ্রুপ ডি পদের জন্য ওই নামগুলি সুপারিশ করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে এই সুপারিশ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমরা যে বিধায়ক, তিনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) পরিষদের মন্ত্রী হিসেবে আমাদের প্রত্যেককে পাঁচটি করে নাম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমরা পাঁচজনের নাম পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু কেউ চাকরি পায়নি।” সূত্রের বরাত দিয়ে অনন্তদেবের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ সামনে এসেছে। তিনি অনন্তদেব অধিকারীর কাছ থেকে ২০১৬ সালের উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগে ৪৮ নম্বর রোল নম্বরের বিষয়ে একটি সুপারিশ পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ৪৮ নম্বরের উচ্চ প্রাথমিক প্রার্থী আমার কাছে আসেনি।' অনন্তদেব অধিকারী ২০১১ সালে ময়নাগুড়ি থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। সে সময় অবশ্য তিনি আরএসপির টিকিটে জিতেছিলেন। পরে মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগ দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলও তাকে ২০২১ সালের নির্বাচনে টিকিট দেয়, কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরে যায়। বর্তমানে অনন্তদেব ময়নাগুড়ি পৌরসভার চেয়ারম্যান।
No comments:
Post a Comment