জোরালো বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল থানা। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর থানার মালখানায় এই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় তিন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আহত পুলিশ কর্মীদের উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এসআই কৃষ্ণেন্দু গোস্বামী, একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল আহত হয়েছেন। আহত পুলিশ কর্মীদের দেখতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছেছেন জেলা পুলিশ সুপার কে এস রাজকুমার। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বহরমপুর থানার একটি দোতলা বিল্ডিং আছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, থানার দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণটি ঘটে বেলা ১টার দিকে। বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী এবং একজন অফিসার থানায় ডিউটিতে ছিলেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, থানার মূল মালখানাটি থানার দ্বিতীয় তলায়। বেলা একটার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। এক তলায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা উপরের তলায় গিয়ে দেখেন তিন সহকর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আহতদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গোডাউনে থাকা ব্যাটারি বিস্ফোরণে এ বিস্ফোরণ ঘটে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। তবে ব্যাটারি থেকে এত বড় বিস্ফোরণ কীভাবে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে কিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই জিনিসপত্র থানার দ্বিতীয় তলায় রাখা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত সামগ্রীর মধ্যে ব্যাটারিও ছিল। এদিন দুপুরে হঠাৎ ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়।
আহত এক এএসআই বলেন, “ব্যাটারি বিস্ফোরণের কারণে এই ঘটনাটি ঘটেছে। বর্তমানে থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা থানায় পৌঁছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের এই এলাকাটি খুব সহিংসতা প্রভাবিত বলে মনে করা হয় এবং মুর্শিদাবাদ ও মালদায় প্রায়শই বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তবে এইভাবে থানা চত্বরে বিস্ফোরণের ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে। বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন করছে, যখন থানাগুলোই নিরাপদ নয়, তখন সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদ থাকবে।
No comments:
Post a Comment