বাচ্চার সঙ্গে সময় কাটানো মানেই কিন্তু এই নয় যে তার স্কুল বা পড়াশোনা সংক্রান্ত আলোচনা করা । হ্যাঁ,তার পড়াশোনার বিষয় যত্ন নিন,কিন্তু তা নিয়ে সন্তানের সঙ্গে আলোচনাও ঠিক নয়। অবসরে সন্তানকে কিছু বাড়ির কাজ শেখান। বিশেষ করে যাদের বয়স ১০-এর বেশি, তারা স্বচ্ছন্দে রান্না, বাসন মাজা বা ঘর গোছানোর কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে। তাদের সঙ্গে বসে আড্ডা মারুন, গেম খেলুন, ভালো সিনেমা দেখুন। ছাদে ক্রিকেট বা ব্যাডমিন্টনও খেলা যায়।
এই বয়সে এমন হয় যে আপনি যা যা তাকে বলছেন, আপনার সন্তানের কাছে তার সবটা যুক্তিগ্রাহ্য বলে না-ও মনে হতে পারে। তাতে রেগে যাওয়ার কিছু নেই, মানুষের ব্যক্তিত্ব তৈরি হলে বরং তেমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। তার কথাটাও মন দিয়ে শুনতে হবে। দরকারে মেনেও নিতে হতে পারে। শিশু মানেই যে সে ভুল বলছে তেমনটা না-ও হতে পারে।
নিজের না পাওয়া বা ব্যক্তিগত আক্ষেপের দায় সন্তানের উপর একদমই চাপাবেন না। তাকে তার গুণ কোনগুলি তা বুঝিয়ে দিতে পারেন, দোষ করলে সেটাও বলুন খোলা মনে। নিজের কোনও দুর্বলতা থাকলে সেটাও স্বীকার করতে লজ্জা পাবেন না। তবেই সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কখনও অন্য কারো সঙ্গে সন্তানের তুলনা করবেন না। প্রতিটি শিশুই স্পেশাল। আপনার বাচ্চার গুণগুলি খুঁজে বের করার উপর জোর দিন। সবচেয়ে বড়ো কথা, বাচ্চাকে নিজের মতো খানিকটা সময় কাটানোর সুযোগ দিন।
No comments:
Post a Comment