এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আড় মাছ ডিম পাড়ে। প্রজননের সময় স্ত্রী ও পুরুষ মাছকে সহজেই আলাদা করা যায়।
প্রজননের জন্য উপযুক্ত স্ত্রী ও পুরুষ মাছ নির্বাচন:
প্রজনন মৌসুমে স্ত্রী মাছের পেট ডিমে ভরা থাকে এবং পুরুষ মাছের পেট সাধারণ মাছের মতোই থাকে। এছাড়া পুরুষ মাছ পেটে চিপলে সাদা দুধ বের হয়। এতে আড় মাছের স্ত্রী ও পুরুষ মাছ শনাক্ত করা সহজ হয়।
হরমোন ইনজেকশন দ্রবণের প্রস্তুতি এবং ইনজেকশন পদ্ধতি:
আড় মাছ Pg (পিটুইটারি গ্রন্থি) হরমোনটি ডিমে প্রবেশ করানো হয়। প্রথম ডোজের সময় শুধুমাত্র স্ত্রী মাছকে ইনজেকশন দিতে হবে। ডোজ মাত্রা 2 মিগ্রা: কেজি। 6 ঘন্টা পরে দ্বিতীয় ডোজ হল 4 মিগ্রা/কেজি।
প্রাকৃতিক পদ্ধতি:
প্রথম পদ্ধতি হল পুরুষ ও স্ত্রী মাছকে একই সাথে হরমোন ইনজেকশন দিয়ে বড় হাউসে ছেড়ে দেওয়া। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর 6 ঘণ্টার মধ্যে তারা স্বাভাবিকভাবে ডিম পাড়তে সক্ষম হবে। ডিম পাড়ার পরে, ব্রুডফিশকে সাবধানে সরিয়ে ফেলতে হবে। তারপর বাড়ির জল 3/4 ইঞ্চি কমিয়ে ছিদ্রযুক্ত পাইপ দিয়ে জলের ফোয়ারা দিন। এখানেও 20/22 ঘন্টার মধ্যে ডিম থেকে বাচ্চা বের হবে।
আড় মাছ খুব বড় হয় না কারণ তারা কৃত্রিম খাবার খাওয়ায় না। তাই বিভিন্ন মাছের সাথে মিশ্র চাষ করে ভালো ফল পান। মজুদ ঘনত্ব 1 মাছ প্রতি 5 শতাংশ মিশ্র চাষে। মাছ ছাড়ার সময় বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনও অবস্থাতেই পুকুরের অন্যান্য মাছের আকারের সমান না হয়। এমতাবস্থায় দ্বিতীয় মাছের ওজন যখন 150/200 গ্রাম হয়ে যাবে তখন 2 ইঞ্চি সাইজের আড় পোনা ছেড়ে দিতে হবে। অন্যথায়, আড় দ্রুত বেড়ে অন্য মাছ খেতে পারে।
No comments:
Post a Comment