বিদ্বানদের বলা কথাগুলো আমাদের জীবনে খুবই কাজে লাগে। পণ্ডিত ব্যক্তিদের চিন্তা সাফল্যে সহায়ক। এই কারণেই সফল ব্যক্তিরাও বিদ্বানদের বলা কথা অনুসরণ করেন। চাণক্য নীতিতে এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে উল্লেখ রয়েছে, যা সাফল্যের চাবিকাঠি। জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-
কান্তা বিয়োগঃ স্বজনাপমানি।
ঋণস্য শেশম্ কুনরিপাস্য সেবা।
কদ্রিদ্রভাবো বিষমা সভা চ।
বিনাগ্নিনা তে প্রদনন্তি কায়ম্।।
চাণক্য নীতিতে, আচার্য চাণক্য এই শ্লোকের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন যে কোনও পুরুষের জন্য স্ত্রী বিচ্ছেদ, তার নিজের লোকদের দ্বারা অসম্মান করা। ঋণ, দুষ্ট রাজার সেবা করার জন্য। দারিদ্র্য ও দুর্বল মানুষের সভায় সম্মিলিত হওয়া এই ছয়টি জিনিস বিনা আগুনে শরীর পোড়ায়।
চাণক্য নীতি অনুসারে, যে ব্যক্তির স্ত্রী নেই, তার দুঃখ অন্য কেউ বুঝতে পারে না। ঠিক একইভাবে, একজন ক্ষমতাবান ব্যক্তির সেবা করাও এমন একটি যন্ত্রণা যা তাকে না চাইলেও সহ্য করতে হয়। চাণক্য যে পরিস্থিতির কথা বলেছেন তা যদি আমাদের মোকাবেলা করতে হয়, তাহলে তা মানুষের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি।
দুরাচারী দুরাদৃষ্টিদুর্রাভাসী চ দুর্জনঃ।
যন্মাইত্রিক্যতে পুম্ভির্নরঃ, শীঘ্রই বিনশ্যতি।।
চাণক্য নীতির এই শ্লোকের অর্থ বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চাণক্য বলেছেন যে, যারা তাদের সঙ্গর বিষয়ে মনোযোগ দেয় না এবং যারা অন্যায় ও অনৈতিক কাজে লিপ্ত, তাদের সাথে যোগাযোগ রাখে, তাদের বরবাদ হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারে না। যুবদের এ দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। যৌবনে ভুল মানুষের সঙ্গ সারা জীবনকে প্রভাবিত করে। এমতাবস্থায় ভুল মানুষের সঙ্গ থেকে দূরে থাকা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment