মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১শে জুলাই শহীদ দিবসের সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে 'জিহাদ' ঘোষণার আহ্বানের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের। বাংলার বিজেপি নেত্রী নাজিয়া এলাহী খানের আইনজীবী তন্ময় বসু এই মামলা দায়ের করেন। সোমবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হয়।
হাইকোর্ট, শুনানির সময় আবেদনের একটি অনুলিপি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাতে বলেছে এবং আগামী ২ সপ্তাহ পরে বিষয়টি আবার শুনানি হবে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিজেপি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বরখাস্ত করার জন্য রাজ্যপালের কাছে দাবী জানিয়েছে।
শুনানির সময় বাদীর আইনজীবী তন্ময় বসু বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করা যায় না। এমনকি তিনি এখনও এই মন্তব্য প্রত্যাহার করেননি। বিরোধী দল নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এই মন্তব্য কি কাম্য?'
অন্যদিকে, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, 'এই পিআইএল গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিৎ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য কারও ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে নয়। জিহাদ মানে 'সংগ্রাম' এবং 'যুদ্ধ'। এর মানে আর কি? আমি বিশ্বাস করি, বিজেপি শুধু হিন্দু দল নয় এবং তৃণমূল মানে মুসলিম দল নয়। বিজেপি কংগ্রেস-মুক্ত ভারত নিয়ে কথা বলছে, এমন পরিস্থিতিতে কি কংগ্রেস কর্মীদের ওপর হামলার কথা বলা হয়? যদি এটি এমন না হয় তবে এরও কোনও অর্থ নেই।'
বাদী ও বিজেপি নেত্রী নাজিয়া এলাহী বলেন, 'বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পর এসব মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। বহু মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে বিজেপি কর্মীদের। তাদের অনেকেই এখনও জামিন পাননি। মিছিলে বিজেপি কর্মীদের হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে আতঙ্কিত বিজেপি কর্মীরা।'
তিনি আরও বলেন, 'জিহাদের প্রকৃত অর্থ থাকলেও এটি একটি ধর্মীয় আহ্বানও বটে। যেভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এ কারণে বিজেপির সাধারণ কর্মীরা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং তাই এ বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ন্যায়বিচারের আর্জি জানানো হয়েছে।'
No comments:
Post a Comment