সাত বছরের শিশু কন্যাকে নির্মম ভাবে অত্যাচারের অভিযোগ উঠল মায়ের বিরুদ্ধে। হয়রানির ভয়ে মেয়েটি স্কুলে শিক্ষকদের সামনে নিজের দুঃখের কথা জানায়। মেয়েটি তার সাথে ঘটে যাওয়া নিষ্ঠুরতার কথা অন্য কাউকে জানায়নি। কিন্তু স্কুলের শিক্ষকরা মেয়েটিকে ভরসা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিষয়টি জানা যায়। শিশুটি জানায়, তার মা তাকে মারে, কামড়েও দেয়। স্কুলের এক শিক্ষক ওই ছাত্রীর ভিডিও তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করেছেন। ভিডিওটির পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি বলা হচ্ছে নয়ডার।
গত ২৮ জুন থেকে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছিল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শিশুটি নিজের মুখে তার ওপর হওয়া নিষ্ঠুরতার কথা বলছে এবং মানুষের কাছে সাহায্যের আবেদনও করছে। তিন বছর আগে, মেয়েটি তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে, তাকে নয়ডায় বসবাসকারী এক মহিলা দত্তক নিয়েছিলেন। পুলিশ বলছে, মেয়েটি সরফাবাদ গ্রামের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ওই ছাত্রী ভয়ে ভয়ে স্কুলে পৌঁছলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়েটি ভয়ে মুখ খুলে কথাও বলতে পারছে না। কিন্তু শিক্ষকরা মেয়েটিকে ভরসায় নিয়ে আদর করে কথাবার্তা শুরু করেন। অনেক জিজ্ঞাসা করার পর, মেয়েটি বলে যে, 'আমার মা আমাকে মারধর করে এবং হোমওয়ার্ক না করার জন্য আমাকে কামড় দেয়। মেয়েটির শরীরে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনুরোধও করছিল। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে, পুলিশ নয়ডা থানার সেক্টর ১১৩-এ মেয়েটির মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
নয়ডার এডিসিপি রণবিজয় সিং জানিয়েছেন, মেয়েটিকে এপ্রিল মাসে মথুরার এককি হোম থেকে দত্তক নিয়েছিলেন ওই মহিলা। মহিলা গত ৪ বছর ধরে স্বামীর থেকে আলাদা থাকেন এবং একাকীত্ব কাটিয়ে উঠতে এক শিশুকে দত্তক নেন। মেয়েটি হরিয়ানার বাসিন্দা এবং ৩ বছর আগে তার পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা হয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, আগে ওই মহিলা মেয়েটির সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলেও এখন তাকে হয়রানি করতে শুরু করেছে। ওই মহিলা জানান, মাঝেমধ্যে মেয়েকে পড়াশোনার একটুন-আধটু মেরে থাকেন। তিনি বলেন, 'মেয়েটিকে নির্যাতন করার উদ্দেশ্য থাকলে তিনি কেন দত্তক নেবেন?'
No comments:
Post a Comment