'মন্ত্রীর সম্মানের প্রশ্ন বলে কথা', কেন বললেন দিলীপ? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 23 July 2022

'মন্ত্রীর সম্মানের প্রশ্ন বলে কথা', কেন বললেন দিলীপ?


শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধাররের পর তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। ইডি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটিও বেশি টাকা পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও জমির কাগজপত্র। অর্পিতার ফ্ল্যাটে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যেতে আরবিআই থেকে আনা হয়েছে প্রায় ৪০টি ট্রাঙ্ক। অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবী করেছেন যে ইডি ৭৫ কোটি টাকা পেয়েছে এবং মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠের বাংলাদেশ সংযোগও পাওয়া গিয়েছে।


উল্লেখ্য, বর্তমানে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ইডি আটক করেছে এবং তাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয়েছে।


 দিলীপ ঘোষ বলেন, এখন পর্যন্ত যে নগদ টাকা এসেছে তা সামান্য অংশ মাত্র। তার তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৭০-৭৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তা ছাড়া সোনা তো আছেই। তৃণমূল কংগ্রেসের এক জেলা সভাপতি তথা বরিষ্ঠ নেতা অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তা কর্মীর কাছ থেকে ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠর কাছ থেকে আরও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। মন্ত্রীর সম্মানের প্রশ্ন বলে কথা!  


তিনি আরও বলেন, 'মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ওই নারীর ৮টি ফ্ল্যাট পাওয়া গিয়েছে। ২১ কোটির বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং মন্ত্রীর অন্য এক ঘনিষ্ঠ মোনালিসার ১০টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়া গেছে, যিনি একজন শিক্ষিকা এবং শান্তিনিকেতনে থাকেন। তার বাংলাদেশ কানেকশন আছে। তাকে বাংলাদেশে যাওয়া-আসা আছে।'


বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ২১ শে জুলাইয়ের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে, তাঁর সাংসদরা রিকশায় যাবেন, কিন্তু একজন টিএমসি কাউন্সিলর চার কোটি টাকার গাড়িতে চড়েন।  এ থেকে অনুমান করা যায় কোন মন্ত্রীর কত সম্পত্তি এবং তার পরও প্রতিহিংসার অভিযোগ ওঠে। বলা হয়েছিল, তার মন্ত্রীর কোনও ক্ষতি হলে দেখে নেবেন। দলের মহাসচিব গ্রেফতার হয়েছেন, আর টিএমসি বলছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। দলের পক্ষ থেকে যদি বলা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাদের কোনও যোগাযোগ নেই, তাহলে সেটাও অবিশ্বাস্য নয়।'


থেমে না থেকেই দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বাংলার মানুষ হতাশ। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ ও বিধায়কদের থেকে মুক্তি চায়। তিনি চান এই তদন্ত শেষ পর্যন্ত হোক।'


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad