মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে শিবসেনার বিধায়ক ও সাংসদদের ভেঙে পুরো দলীয় সংগঠনের দখল নিতে সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। অন্য দিকে, এখন তিনি শিবসেনাকে হাইজ্যাক করতে প্রস্তুত। বুধবার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠান শিন্ডে। এতে তিনি তার সংগঠনকে শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবী জানান। তিনি আরও বলেন, শিবসেনার তীর-ধনুক প্রতীক পাওয়া উচিৎ।
শিবসেনা বিধায়ক, সাংসদ এবং কাউন্সিলররা অনেকাংশে বিভক্ত, কিন্তু একনাথ শিন্ডের পক্ষে শিবসেনা সংগঠনকে নিয়ন্ত্রণ করা এত সহজ নয়। তবে তারা এ দিকে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পর এখন তাদের চোখ শিবসেনার পদাধিকারীদের দিকে।
শিন্ডের নজর প্রতিনিধি পরিষদের দিকে
হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস, যা শিবসেনা সংগঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত, এর সদস্য সংখ্যা 282। একনাথ শিন্ডে এখন এর দুই-তৃতীয়াংশ অর্থাৎ 188 সদস্যকে ভেঙে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এতে তিনি সফল হলে শিবসেনা ও উদ্ধব ঠাকরের জন্য কঠিন হবে।
সাংসদ-বিধায়ক ছাড়াও সংগঠন ভাঙতে হবে
দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী, বিধায়ক ও সাংসদ বিভাজন মানেই দলে বিভাজন নয়। সে জন্য সংগঠনে বিভাজন থাকতে হবে। জানা গিয়েছে, একনাথ শিন্ডে প্রতিনিধি পরিষদের 188 জন সদস্য তার পক্ষে পান, তবে এটি পুরো দলে বিভক্তির দাবীকে শক্তিশালী করবে। এরপর একনাথ শিন্ডে তার পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরো শিবসেনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে এই বিপদ বুঝতে পেরেছে শিবসেনা। সেই কারণেই এই সময়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিচ্ছেন উদ্ধব ঠাকরে ও আদিত্য ঠাকরে।
No comments:
Post a Comment