পৃথিবীতে প্রতিদিন, প্রতি ঘন্টায়, প্রতি মিনিটে নানা ধরণের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এতে খুন, চুরি, ধর্ষণ থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধই মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু এমনও কিছু ঘটনা সামনে আসে, যা জানার পর হতবাক হতে হয় গোটা বিশ্বকে। এসব অপরাধ নিয়ে দেশ-বিশ্বে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। আজকের এই প্রতিবেদনে এমনই একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হচ্ছে, যেটি নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আলোচনা চলেছে। রাশিয়ায় বসবাসকারী ভ্লাদিমির নিকোলায়েভিচ নিকোলায়েভ নামে একজনকে ১৯৯৭ সালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে দুই জনকে খুন করে তাদের মাংস খাওয়ার অভিযোগ ছিল।
ভ্লাদিমির, এখন ৬৩ বছর বয়সী। ১৯৯৯ সালে তার মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি থেকে সে নিস্তার পায়, যখন রাশিয়ায় মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তারপর থেকে ভ্লাদিমির কারাগারে। সে শুধু খুনই করেনি, তার শিকারকে খুন করে তাদের মাংসও খেয়েছে। সে নরখাদক নামেও পরিচিত। সে তার অপরাধ স্বীকার করলে সবাই শিউরে ওঠে। সে জানায়, প্রথমবার মানুষের মাংস সেদ্ধ করে খেতে তার ভালো লাগেনি। এর জের ধরে সে আবারও খুন করে। এবার আর সেদ্ধ নয়, মাংস ফ্রাই ভেজে খায় এবং এর পরেই মানুষের মাংসের স্বাদ তার পছন্দ হয়।
ভ্লাদিমির পুলিশকে তার অপরাধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছিল। ১৯৯৭ সালে দুটি খুনের জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে, যে ব্যক্তি ভ্লাদিমিরের কাছে লাইটার চেয়েছিল তাকেই সে প্রথম খুন করেছিল। তারা লাইটার নিয়ে ঝগড়া করছিল এবং ঝগড়া এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে ভ্লাদিমির তাকে খুন করে দেয়। তার স্বীকারোক্তিতে, ভ্লাদিমির বলে যে, খুনের আগে পর্যন্ত তার শিকারের মাংস খাওয়ার কথা চিন্তা করেনি সে। কিন্তু যখন সে মৃতদেহ সরিয়ে ফেলার কথা ভাবছিল, তখনই এই ধারণাটি তার মাথায় আসে।
ভ্লাদিমির আরও জানায়, যখন দেহটিকে সরিয়ে ফেলতে তার ছোট ছোট টুকরো করেছিল, তখন সে সেগুলিকে সেদ্ধ করে টেষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু এর স্বাদ পছন্দ হয়নি। এরপর দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ডে সে মাংস ভেজে খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এবার তার মানুষের মাংস পছন্দ হয়। তবে, ভ্লাদিমিরের নিষ্ঠুরতা সেখানে শেষ হয়নি। সে তার সন্তানদেরও মানুষের মাংস খাওয়াত। এখন ভ্লাদিমির বাকি জীবন কারাগারে কাটাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment