ডিম ভেজ নাকি নন ভেজ? জেনে নিন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 23 July 2022

ডিম ভেজ নাকি নন ভেজ? জেনে নিন


আপনি নিশ্চয়ই অনেককেই এই কথা বলতে শুনেছেন, রবিবার হোক বা সোমবার, প্রতিদিন ডিম খান। ডিম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যারা নন-ভেজ খান তারা খুব সহজেই ডিম খান। তবে নিরামিষাশীরা ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলেন। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে ডিমটি আমিষজাতীয় কারণ এটি মুরগি দ্বারা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে নিরামিষাশীরাও বলেন, ডিম থেকে ছানা বের হয়, তাই এটি আমিষ। তবে কেউ কেউ এই যুক্তি মানেন না। বিজ্ঞানীরাও এই যুক্তিকে মিথ্যা প্রমাণ করেন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পশু থেকেও দুধ আসে, তাহলে তিনি নিরামিষাশী হলেন কীভাবে?


বাজারে নিষিক্ত ডিম পাওয়া যায়


বাজারে পাওয়া সমস্ত ডিমই নিষিক্ত। অর্থাৎ এসব ডিম থেকে কখনো ছানা বের হয় না। সে অনুযায়ী ডিমকে আমিষ ভাবা ঠিক হবে না। এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরাও বিজ্ঞানের মাধ্যমে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। ডিম নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমে তিনটি স্তর থাকে। প্রথম খোসা, দ্বিতীয় সাদা এবং তৃতীয় ডিমের কুসুম অর্থাৎ কুসুম। জোয়াল মানে হলদে অংশ। ডিমের সাদা অংশে শুধুমাত্র প্রোটিন থাকে। এতে প্রাণীর কোনো অংশ থাকে না। তাই টেকনিক্যালি ডিমের সাদা মানে শুভ্রতা একটি কীলক। 


ডিমের কুসুমে প্রোটিন এবং কোলেস্টেরল থাকে


যদি আমরা ডিমের কুসুম অর্থাৎ কুসুম সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে এতে প্রোটিনের পাশাপাশি ভালো পরিমাণে কোলেস্টেরল ও ফ্যাট থাকে। মুরগি ও মুরগির সংস্পর্শে আসার পরই ডিম ফুটে। তাদের মধ্যে গ্যামেট কোষ রয়েছে যা তাদের মাংসাশী করে তোলে। অথচ বাজারের ডিমে এমন কিছু হয় না। 


মুরগি মুরগির সংস্পর্শে না এসে ডিম পাড়ে


জানলে অবাক হবেন যে মুরগি ৬ মাস বয়সের পর ডিম দেওয়া শুরু করে। সে প্রতি এক থেকে দেড় দিন অন্তর ডিম পাড়ে। এ জন্য তাকে কোনো মুরগির সংস্পর্শে আসতে হবে এমন নয়। যে মুরগি মোরগের সংস্পর্শে না এসে ডিম পাড়ে তাকে নিষিক্ত ডিম বলে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এগুলো থেকে কখনো ছানা বের হতে পারে না। অতএব, বাজারে পাওয়া ডিম শুধুমাত্র নিরামিষ শ্রেণীতে গণনা করা হবে।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad