দেশে বড় পরিসরে তৈরি ড্রোনের প্রযুক্তিগত অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা শুরু করেছে সেনাবাহিনী। এগুলি লাদাখের উঁচু এলাকায় পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে ড্রোনগুলি পরীক্ষায় সফল হবে, সেগুলোর সামরিক এবং অ-সামরিক উদ্দেশ্যে বাহিনীতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের পথ পরিষ্কার হবে। সেনাবাহিনী নজরদারির পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী পাঠানোর জন্য ড্রোন ব্যবহার করতে আগ্রহী।
সেনা সূত্রের খবর অনুযায়ী, আর্মি ডিজাইন ব্যুরো দেশের সমস্ত ড্রোন নির্মাতাদের তাদের ড্রোনগুলি পরীক্ষার জন্য লাদাখে আনতে বলেছে। এগুলি ব্যুরোর বিশেষজ্ঞদের একটি দল দ্বারা লাদাখের উচ্চতর অঞ্চলে পরীক্ষা করা হচ্ছে, যা ৩১ জুলাই পর্যন্ত চলবে। যদি দেশে তৈরি ড্রোনগুলি এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তবে সেনাবাহিনী উচ্চতর অঞ্চলে বৃহৎ পরিসরে রসদ এবং অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করতে এগুলো ব্যবহার করতে পারে। যদিও নজরদারির উদ্দেশ্যে ডিআরডিও সহ কয়েকটি সংস্থার ড্রোনও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ড্রোনগুলি কতটা সফলভাবে এবং কতক্ষণের জন্য উঁচু পাহাড় এবং ঠান্ডা আবহাওয়া, প্রবল হাওয়ায় উড়তে পারে, তা দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার গত বছর ঘোষিত ড্রোন নীতির অধীনে ড্রোনের মাধ্যমে ৫০০ কেজি পর্যন্ত পণ্য পরিবহন করা যেতে পারে। স্বাস্থ্য, কৃষিসহ অনেক ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহারের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশে ড্রোন ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ডজন ডজন স্টার্টআপ সহ ১০০টিরও বেশি সংস্থা ড্রোন তৈরির সাথে জড়িত।
একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২১ সালে ড্রোন বিক্রির পরিমাণ ছিল মাত্র ৬০ কোটি, কিন্তু আগামী দিনে এর ব্যবহার যেভাবে বাড়বে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের মধ্যে ৯০০ কোটি এবং ২০২৬ সালের মধ্যে ১৫ হাজার কোটিতে পৌঁছবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। স্টার্টআপগুলি যখন ড্রোন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তখন আদানি এন্টারপ্রাইজের মতো সংস্থাগুলি এতে ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ করছে৷
No comments:
Post a Comment