মহার্ঘভাতা (ডিএ) এবং বাড়ি ভাড়া ভাতা (এইচআরএ) বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট শুরু প্রায় পাঁচ লাখ সরকারি কর্মচারীর। কর্মীরা পাঁচ দিনের ধর্মঘট শুরু করেছেন সোমবার থেকে। আর ধর্মঘটের প্রথম দিনেই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতরে কাজকর্ম ব্যাহত হয়। হাসপাতাল, স্কুল-কলেজেও হরতালের প্রভাব দেখা গেছে। স্কুলে ছুটি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীদের ধর্মঘটের কারণে রোগীদেরও সমস্যায় পড়তে হয়েছে। ঘটনা ছত্তিশগড়ের।
ছত্তিশগড় স্টাফ অফিসার্স ফেডারেশনের (সিকেএএফ) আঞ্চলিক আহ্বায়ক কমল ভার্মা দাবী করেছেন, রাইপুর, বিলাসপুর, দুর্গ, বস্তার এবং সুরগুজা নামে রাজ্যের পাঁচটি রাজস্ব বিভাগে ধর্মঘট ভালো সাড়া পেয়েছে। “৭ম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুসারে, পাঁচ লক্ষ সরকারি কর্মচারী ডিএ এবং এইচআরএ বৃদ্ধির জন্য ধর্মঘটে রয়েছেন। কর্মচারীদের এই ধর্মঘটে সমর্থন দিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলোও। সরকারি অফিসে কোনও কাজ হয়নি।
সোমবার ছত্তিশগড় বিধানসভার বাদল অধিবেশনে শ্রমিক ধর্মঘটের প্রসঙ্গ ওঠে। বিজেপি ইস্যুটি উত্থাপন করে এবং বলে যে, ভূপেশ বাঘেল সরকার ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সরকারি কর্মচারীদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিধায়ক ব্রিজমোহন অগ্রবাল বলেন, 'আজ থেকে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা ৫ দিনের জন্য ধর্মঘটে। সকাল থেকে স্কুল বন্ধ, সরকারি অফিস বন্ধ। সব দপ্তরের সরকারি অফিসে তালা ঝুলছে। ডিএ এবং অন্যান্য দাবীর বিষয়ে, ছত্তিশগড়ের কর্মচারীদের প্রতি সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। ইশতেহারে দেওয়া একটি প্রতিশ্রুতিও পূরণ হয়নি। এ বিষয়ে আমরা মুলতবি নিয়ে এসেছি। তিনি বলেন, ছত্তিশগড়ের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, আমরা চার-চারটি স্থগিত নিয়ে আলোচনা করতে চাই।
No comments:
Post a Comment