অভিনব উদ্যোগ এসএফআইয়ের। সোমবার থেকে মধ্যমগ্রামে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য চালু হল বিনামূল্যে অনলাইন হেল্পডেক্স। শুধু মধ্যমগ্রাম নয়, গোটা রাজ্য জুড়েই এসএফআইয়ের তরফ থেকে বিনামূল্যে হেল্প ডেক্স চালু করা হয়েছে।
মধ্যমগ্রাম-১ আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে এই অনলাইন হেল্প ডেক্স এসএফআইয়ের পরিচালনায় চালু হল, যা চলবে আগামী ২১শে জুলাই পর্যন্ত। সোমবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে ভর্তির অনলাইন পোর্টাল চালু হয়েছে। তাই প্রথম দিন থেকেই এসএফআইয় কর্মীরা অ্যাডমিশন মেড নামে ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে এই ধরনের হেল্প ডেক্স গোটা জেলা জুড়েই চালু করা হয়েছে বলে জানান এসএফআই জেলা সম্পাদক আকাশ কর।
তিনি আরও জানান, সবার মনে আছে হয়তো মধ্যমগ্রামের কাছেই পানিহাটি চৈতালি পাত্রকে একসময় আত্মহত্যা করতে হয়েছিল। কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাটমানির চাপে পরেই তিনি এমন ঘটনা ঘটান, বলে দাবী আকাশ করের। তিনি বলেন, 'তাই চৈতালি পাত্রকে স্মরণ করে এই কর্মসূচি নিয়েছে এসএফআইয়ের কর্মীরা। আর যেন একটা ছেলে মেয়েকেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের তোলাবাজির চাপে পরে পড়াশোনার আঙিনা থেকে ছিটকে যেতে না হয়।'
পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্দেশ্যেও কড়া বার্তা দেওয়া হয় এসএফআইয়ের তরফ থেকে। এতদিন যা করেছে করেছে, তারা যেন আর কাটমানি নিয়ে বেশি লাফালাফি করতে না আসে। কারণ এসএফআই কর্মীরা প্রতিটি কলেজের সামনে অ্যাডমিশন মেড নামে হেল্প ডেক্স নিয়ে হাজির থাকবে।
এসএফআইয়ের বার্তা, আর কাটমানি কাজ চলবে না।এসএফআই জেলা সম্পাদক আকাশ কর বলেন, 'কেন আজ আমাদের এই কর্মসূচি নিতে হল? তার কারণ যে কাজ সরকারের করা উচিৎ সেই কাজ করতে সরকার ব্যর্থ। তাই রেড ভলেন্টিয়ারদের নামতে হয়েছিল রাস্তায়। এবার তো সেন্ট্রালই অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া চালু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু করতে পারলো না কেন?তৃণমূল ছাত্র পরিষদের চাপে। কারণ ওদের কাটমানি খাওয়ার জায়গাটা চলে যাবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্যবসাই এটা।'
তিনি বলেন, 'এই সময়টাই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মরশুম, জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর হচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের টাকা ঝাড়ার মরশুম। আজ যে কাজ সরকার করতে পারছে না সেই কাজ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কাটমানি তোলাবাজি রুখতে এসএফআইকে এই ধরণের পরিকল্পনা নিতে হল।'
তিনি জানান, 'আজ থেকে দুবেলা এই পরিষেবা চলবে, যে যে কলেজের অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে, সবটাই এখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা করতে পারবে। সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩টে এবং বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এই হেল্প ডেক্স খোলা থাকবে।
এক ছাত্রী জানায়, এই পরিষেবা পেয়ে তারা খুবই উপকৃত। কারণ এক একটা সাইবার ক্যাফেতে এক এক ধরনের খরচ বলা হচ্ছে। কোথাও ২০০, আবার কোথাও ২৫০ টাকা চাওয়া হচ্ছে, সেখানে সম্পূর্ন বিনামূল্যে এই পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে, যা আগে কোনও দিন দেখা যায়নি। এই পরিষেবা পেয়ে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা খুশি।'
No comments:
Post a Comment