এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে শিল্পমন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জিকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি আধিকারিকরা গত ৩০ ঘন্টা ধরে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। টালিগঞ্জে অবস্থিত ডায়মন্ড সিটির বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। ইডি আধিকারিকরা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ২১.২০ কোটি টাকা, ৭৯ লক্ষ টাকার অলঙ্কার, ৫৪ লক্ষ টাকার বৈদেশিক মুদ্রা, কলকাতায় আটটি ফ্ল্যাট, ২০টি মোবাইল এবং কলকাতায় জমির কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা নোটগুলির সঙ্গে শিক্ষা দফতরের টাকা ভর্তি খামও উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার থেকে ইডি আধিকারিকরা লাগাতার অভিযান চালাচ্ছেন। অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারের পর গোটা রাজ্যে যেন রাজনৈতিক ভূমিকম্প হয়েছে।
ইডির এক সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন যে, অর্পিতা জিজ্ঞাসাবাদে অসহযোগিতা করছেন। অর্পিতার বাড়ি থেকে শিক্ষা দফতরের খামে ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট পাওয়া গেছে। ইডি আধিকারিকরা জানতে চেয়েছেন এত বিপুল পরিমাণ কোথা থেকে এল? তার আয়ের উৎস কি? ইডি আধিকারিকদের জিজ্ঞাসা, শিক্ষা দফতরের খামে সেটেলমেন্ট নোটগুলি কোথা থেকে এল?
ইডির দাবী, অর্পিতাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে শিক্ষক নিয়োগে কারচুপির জন্য একটি বড় নেটওয়ার্ক কাজ করছে। এই নেটওয়ার্কের তারগুলো মন্ত্রী থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ইডি আধিকারিকদের দাবী, একটি সম্পূর্ণ চেইন কাজ করছে এর পেছনে।
ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কারচুপির পুরো চেইন কাজ করছে। দালালরা এই চেইনের সর্বনিম্ন লিঙ্ক হিসাবে ব্যবহৃত হত। কাজ পাওয়া লোকদের সাথে যোগাযোগ করে দালালের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হত। এরপর চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হত। যে টাকা পাওয়া যেত, তা শিক্ষা দফতরের কর্মচারী, এমনকি মন্ত্রী ও দলের একটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকদের দাবী, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর অনেক অফিসারের নাম এই মামলায় সরাসরি জড়িত এবং তাদের বিরুদ্ধে শক্তপোক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে, যা ইডি আধিকারিকরা আদালতে জমা করবেন।
No comments:
Post a Comment