সংসদ ভবনের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ করছেন বঙ্গ বিজেপি সাংসদরা। রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন যে ED-CBI-এর উচিৎ SSC নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্ত শীঘ্রই শেষ করা এবং প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন শিল্প, শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তারের পরে বলেছিলেন যে বাজেয়াপ্ত অর্থ তার নয় এবং পুরো ঘটনার পিছনে একটি ষড়যন্ত্র ছিল।
সংসদ ভবনে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন যে "পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ এবং চলমান তদন্তে দুর্নীতিতে ধরা পড়েছেন। কিন্তু একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় একা দুর্নীতি করতে পারেন না।"
তিনি আরও বলেন যে "তৃণমূল কংগ্রেসে কে টিকিট পাবে এবং কে মন্ত্রী হবেন তা কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সিদ্ধান্ত নেন। তাই তৃণমূল আমলে এত বড় দুর্নীতির কথা মুখ্যমন্ত্রী জানেন না, এমনটা হতে পারে না। কাটমানির খাদ্য শৃঙ্খলে রাজ্য জুড়ে তৃণমূল নেতারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।" সুকান্ত মজুমদার সবাইকে গ্রেফতারের দাবী জানান।
বর্ষা অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবন কমপ্লেক্সে ধর্নার ওপর নিয়ন্ত্রণের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সরকারে বিজেপি কি নিয়ম ভঙ্গ করে প্রতিবাদ করছে? এই প্রশ্নের জবাবে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "কংগ্রেস-তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলো এত দিন নিয়ম ভাঙছে, তাতে কিছু যায় আসে না।" এ প্রশ্নে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন যে "সবাই যদি নিয়ম ভাঙে, তবে নিয়ম বজায় রাখার দায়িত্ব কি বিজেপির একার?"
বিজেপির বিরোধীরা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তোলে যে বিজেপি এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির উপর নির্ভর করে না। যেখানে তদন্তকারী সংস্থাগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কাজ করে। এই প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবির বলেছে যে সংগঠনগুলিকে বিজেপি নিয়ন্ত্রণ করে না। বিজেপি দাবী করেছে যে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে। তাই তদন্তের ওপর আস্থা রাখা বা না রাখার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এখানে হাজার হাজার বেকার যুবকের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে। সেই কারণেই বিজেপি দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবী জানায়।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, "তারা (তৃণমূল) প্রথম থেকেই বলে আসছে যে তারা এই নিয়ম মানে না।" একই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন যে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করার জন্য সংসদ সচিবালয় থেকে একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। বিরোধীরা সেই নির্দেশ মানেনি, এবার বিজেপিও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে।
No comments:
Post a Comment