জিআরপর লকাপ ভেঙে পালাল দুই আসামী। আজ, রবিবার শালিমার জিআরপি থানার লকাপ ভেঙে পালিয়ে যায় দুই দুষ্কৃতী। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এই দুই আসামীকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ। আজ সকালে তাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। যদিও গোটা ঘটনাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পাশাপাশি উঠছে গাফিলতির অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, পলাতক ওই দুই আসামীর নাম রাজু হরি ও সমিরুল মোল্লা। দুই জনই উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা। দুজনের বিরুদ্ধেই তাঁদের এক বন্ধুকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। খুনের ওই ঘটনাটি গত ১৭ আগস্টের। ওই দিন আবাদা স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে সতেরো বছরের শুভম হরিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় রাজু ও সমিরুল। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। আহত শুভমকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে জিআরপি। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শুভম হরির।
রাজ্য ও কেন্দ্রের সমস্ত থানাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা থাকাটা বাধ্যতামূলক। যদিও যে তথ্য উঠে আসছে তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর। শালিমারের এই জিআরপি থানাতে নেই কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা। পাশাপাশি লকাপে বন্দিদের উপরে যে নজরদারি রাখার কথা তাও এখানে সঠিকভাবে পালন করা হয় নি বলেই সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয় খুনের অভিযোগে আটক করেছিল উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা রাজু হরি ও সামিরুল শেখকে জিআরপি। কিন্তু জিআরপিকে ঘোল খাইয়ে লকআপ থেকে চম্পট দিল ওই দুই আসামী।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগ উঠেছে লকআপের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জিআরপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। শালিমারে জিআরপির লকআপটি বেশ পুরনো দিনের। একে তো কোনও সিসিটিভির নজরদারি ছিল না, সেখানে পাশাপাশি লকাপের ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণও সেভাবে হয়নি বহুদিন। তাই নজরদারি ও প্রহরার অভাবে সেই লকআপ ভেঙে পালিয়ে যায় রাজু ও সমিরুল। এমনটাই জানা যাচ্ছে শালিমার জিআরপি সূত্রে। যদিও তাদেরকে পুনরায় গ্রেফতার করতে ফের তোড়জোড় শুরু করে শালিমার জিআরপির কর্মীরা। যদিও গোটা ঘটনাকে নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে শালিমার জিআরপির আধিকারিকরা।
No comments:
Post a Comment