বারবার ভয় দেখিয়ে চৌদ্দ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ। সামনে এল পুরোহিতের জঘন্য চেহারা। এর জেরে নাবালিকার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরিবারের লোকজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে দেখা যায়, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে গ্রেফতার করা হল মন্দিরের পুরোহিতকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নানগরে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পুরোহিত দশ বছর আগে বিহার থেকে কোন্নানগরে এসেছিলেন।
বিহার থেকে আসার পর অভিযুক্ত পুরোহিত হুগলির কোন্নানগরের একটি মন্দিরে পুজো দিতেন। তিনি মন্দিরের পাশে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে থাকতেন।
ওই এলাকার এক নাবালিকাকে কয়েকদিন আগে তার পরিবার শ্রীরামপুর ওয়াল হাসপাতালে ভর্তি করেছিল বলে জানা গেছে। নাবালিকার পরিবার জানায়, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার পরীক্ষা করে জানান, নাবালিকা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। হতবাক নাবালিকার স্বজনরা। মেয়েটিও ভয় পেয়ে যায়। প্রথমে নীরব থাকলেও পরে অঝোরে কাঁদতে থাকে নাবালিকা। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, নাবালিকা বলেছে, পুরোহিত তাকে নির্যাতন করেছে। পরিবারের এক সদস্য বলেন, “মেয়েটি কয়েকদিন চুপচাপ থাকত। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তার এ কথা বলতেই আমাদের ওপর বজ্রপাত হল। আমরা কল্পনাও করতে পারিনি যে এমন হবে।"
পুরোহিত তাকে মন্দিরের পিছনে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। রবিবার উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। অভিযুক্ত পুরোহিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আজ,সোমবার শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।
No comments:
Post a Comment