স্ত্রী বারবার বাপের বাড়িতে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ। রাগে স্ত্রীকে মারধরের পাশাপাশি তার একটি চোখ উপড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল গুণধর স্বামীর বিরুদ্ধে। চরম নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তিশগড়ের সুরগুজা জেলার। ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ আগস্ট।
মহিলাকে চিকিৎসার জন্য অম্বিকাপুর মেডিক্যাল কলেজে আনা হলে বিষয়টি জানা যায়। অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। ঘটনার রাতে অভিযুক্ত স্বামী দেবপ্রসাদ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে পৌঁছে স্ত্রী মনমতির সঙ্গে তর্ক শুরু করে। বিবাদ এতটাই বেড়ে যায় যে প্রথমে তিনি মনমতিকে মারধর করেন এবং পরে ডান চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেন।
এতেও অভিযুক্ত স্বামী দেবপ্রসাদের মন না ভরলে তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর চোখ উপড়ে নেন। মহিলার শাশুড়ি ও শ্যালক তাকে উদয়পুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে মহিলাকে পরে অম্বিকাপুরে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলার চোখের মণি পাওয়া যাচ্ছে না। স্বামী তার চোখের মণি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি ঘরে গিয়েও চোখের মণি পাওয়া যায়নি।
মেডিক্যাল কলেজের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ প্রিয়াঙ্কা গুপ্তা জানান, তিনি তার চিকিৎসা জীবনে এমন চোখের রোগী দেখেননি। চোখ উপড়ে ফেলা সহজ নয়। এত বড় ঘটনা কীভাবে ঘটল তা তদন্তের বিষয়। বর্তমানে ওই নারীকে স্বাভাবিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment