শহরের বুকে ফের উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। কলকাতার একটি শপিং মল থেকে রাঁচির এক আইনজীবীকে ৫০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত আইনজীবীর নাম রাজীব কুমার। সূত্রের খবর, রাঁচি হাইকোর্টে কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলা তুলে নিতে ১০ কোটি টাকা দাবী করেছিলেন আইনজীবী। এই দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে, আইনজীবী ৫০ লাখ টাকা সংগ্রহ করতে কলকাতায় এসেছিলেন এবং পুলিশ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে আজ আদালতে হাজির করবে এবং আদালতের কাছে তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে।
কলকাতার একটি শপিং মল থেকে এক আইনজীবীকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। অন্যদিকে, রাঁচি পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তারা কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনও তথ্য পায়নি। একই সঙ্গে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ডের আইনজীবীকে গ্রেফতারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কলকাতা পুলিশ দাবী করেছে যে, আইনজীবী ৬০০ টিরও বেশি জনস্বার্থ মামলা নথিভুক্ত করেছেন। আইনজীবী রাজীব কুমার খনির দুর্নীতির অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলাও করেছিলেন। তাঁর কৌশল ছিল জনস্বার্থ মামলা নথিভুক্ত করে টাকা আদায় করা, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নোট উদ্ধার নিয়ে কলকাতায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ৫২ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি বিষয়টি তদন্ত করছে এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছে।
ক্যাশ কাণ্ডে ঝাড়খণ্ডের ৩ জন কংগ্রেস বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। তিনজন বিধায়কের দুই সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের ৩ জন বিধায়কের গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ফ্লাইটে গুয়াহাটিতে গিয়েছিলেন ৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক। পরদিন সকালে গুয়াহাটি থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন। রবিবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত ১০ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশি রিমান্ডের আদেশ দেন। এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, এত টাকা উদ্ধারের পর কেন নীরব ইডি। কেন এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে না ইডি?
No comments:
Post a Comment