কুতুব মিনারের চেয়ে উঁচু নয়ডায় নির্মিত টুইন টাওয়ার চোখের নিমিষেই ধসে পড়ল। আজ গোটা দেশ বিজ্ঞান, প্রকৌশল, গণিতের এক বিস্ময়কর নমুনার সাক্ষী হয়ে উঠেছে, কিন্তু বিশ্বাসও এই বিস্ময়কর ও ঐতিহাসিক ঘটনার থেকে বাদ যায় নি। সকাল ১১টা থেকে টুইন টাওয়ারের অভ্যন্তরে পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেই ৬ জন মানুষও এই পূজায় অংশ নেন, যারা টুইন টাওয়ার ধ্বংসের সাক্ষী হয়ে থাকবেন। টুইন টাওয়ার শান্তিপূর্ণভাবে ভেঙে ফেলার জন্য নগরবাসী সেক্টর-৪৬-এ হবন পালন করে। টুইন টাওয়ারের ভিতরেও পূজা করা হয়।
টুইন টাওয়ারের চারপাশে ৪০টি টাওয়ারসহ দুটি হাউজিং সোসাইটি সম্পূর্ণ খালি। পান্না কোর্ট সোসাইটি সম্পূর্ণ শূন্য হয়ে পড়ে। মাত্র ছয়জন সেখানে উপস্থিত ছিলেন, যারা টুইন টাওয়ার ধসের কিছুক্ষণ আগে সেখান থেকে চলে যান। তারা টাওয়ার ধ্বংসকারী বিশেষজ্ঞদের দলের অংশ, যারা পরে বেরিয়ে এসেছে। এর আগেও মানুষ ঈশ্বরকে স্মরণ করেছে, যাতে টুইন টাওয়ার ভাঙতে কোনও বাধা না আসে।
টুইন টাওয়ারের আশেপাশে ৪০টি টাওয়ারসহ দুটি হাউজিং সোসাইটি সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ করা হয়। ৫৬০ পুলিশ, ১০০ জন রিজার্ভ ফোর্সের লোক, ৪ টি দ্রুত প্রতিক্রিয়া দল এবং NDRF টিম এলাকায় মোতায়েন করা হয়। বিস্ফোরণস্থলের চারপাশের ৫০০ মিটার এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০০ মিটার দূরে এখানে মাত্র ছয়জন লোক ছিল। এর মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার তিনজন ব্রিঙ্কম্যান, মার্টিন্স, কেভিন স্মিথ। এরা ছাড়াও সাইট ইনচার্জ ময়ুর মেহতা, ভারতীয় ব্লাস্টার চেতন দত্ত এবং একজন পুলিশ অফিসার ।
No comments:
Post a Comment