প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার কারণে হাহাকার পাকিস্তানে। প্রায় ১০০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে। একই সঙ্গে এই অবনতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ন্যাশনাল ইমারজেন্সি ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানি সংবাদপত্র 'ডন'-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ৩৪৩ জন শিশু সহ ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি অনুসারে, সিন্ধু প্রদেশে ১৫ জুনের পর থেকে দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে করাচি থেকে পাঞ্জাব, বেলুচিস্তানের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের মতে, দেশের ৭০ শতাংশ এলাকা বন্যার কবলে পড়েছে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সিন্ধু প্রদেশ। ভয়াবহ এই বন্যার কারণে পাকিস্তানে তিন কোটি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।
পাকিস্তান জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, বন্যায় ৯৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিন্ধু প্রদেশে ৩০৬ জন, বেলুচিস্তানে ২৩৪ জন, খাইবার পাখতুনখোয়ায় ১৮৫ জন, পাঞ্জাব প্রদেশে ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি পিওকেতে বন্যায় ৩৭ জন, গিলগিট বাল্টিস্তানে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে শুরু করে আফগানিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত এলাকা বন্যায় বিপর্যস্ত। পাকিস্তান সরকারের মতে, এই ভয়াবহ বন্যা পাকিস্তানে কখনই ঘটেনি। ভারী বৃষ্টির কারণে পাকিস্তানে নদীগুলো উপচে পড়ছে। নদ-নদীর জল মাইল মাইল ছড়িয়ে জনবসতি পেরিয়ে যাচ্ছে। পিওকে, পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তান, আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত, সোয়াত উপত্যকা বন্যায় খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের মতে, আগস্ট মাসে পাকিস্তানে ২৪১ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, সিন্ধু প্রদেশের ২৩টি জেলায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শেরি রেহমান বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী সহ জন-প্রশাসন উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
No comments:
Post a Comment