দলের নির্দেশ উপেক্ষা! উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন শিশির-দিব্যেন্দু - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 6 August 2022

দলের নির্দেশ উপেক্ষা! উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিলেন শিশির-দিব্যেন্দু


তৃণমূল কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, তারা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেবে না। অর্থাৎ, বিজেপি প্রার্থী জগদীপ ধনখড় বা বিরোধী জোট প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে সমর্থন করবে না তৃণমূল। উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শুধুমাত্র লোকসভা বা রাজ্যসভার সদস্যদের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এর আওতায় সব সংসদ সদস্যকে ভোটদান থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। তৃণমূলের সাংসদ এবং লোকসভায় দলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোট না দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারিকে। কিন্তু, সূত্রের খবর, তা সত্ত্বেও শিশির এবং দিব্যেন্দু দলের নির্দেশ অমান্য করে শনিবার উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন। সংসদ ভবনে শিশির অধিকারীকে দেখা যায় এদিন, এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্রেসকার্ড নিউজ। এছাড়াও একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী পিতা-পুত্র ভোট দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি।


রাষ্ট্রপতি এবং উপ-রাষ্ট্রপতি এই দুটি পদই দেশের সর্বোচ্চ পদ। উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নিলে দলের তরফে কোনও হুইপ জারি করা যায় না। ফলত, শিশির ও দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে দল শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনও অভিযোগ আনতে পারবে না বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। 


প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লীতে এবং শিশির ও দিব্যেন্দু অধিকারীও দিল্লীতে। শুক্রবার সাংসদের দলীয় নৈশভোজে শিশির ও দিব্যেন্দুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই দুই নেতার ঘনিষ্ঠজন বলছেন, একদিকে দল যখন তাদের থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে তাদেরই আবার দলই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তাদের ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকার- এটা কি ধরনের নীতি?


উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই শান্তিকুঞ্জের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূলের। এমনকি, বিধানসভা নির্বাচনের সময় শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে মেদিনীপুরে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে দলের সঙ্গে সম্পর্কে আরও চিঁড় ধরেছে, সম্পর্ক যে কেবল খাতায়-কলমেই রয়ে গিয়েছে, তা বললেও ভুল হবে না। এছাড়াও লোকসভার স্পিকারের কাছে তাদের সদস্যপদ বাতিল করার জন্য চিঠিও লিখেছে তৃণমূল। আর এবারে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে নিয়ে দলের সঙ্গে পিতা-পুত্রের সম্পর্কের ফাটল কী আরও চওড়া হবে? এমনই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে, যদিও এর উত্তর কেবল সময় দেবে। 



No comments:

Post a Comment

Post Top Ad