একজন মহিলার তার গর্ভাবস্থা কালীন সময়ে ডায়েটে বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন কারণ এটি শিশুর বিকাশের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। মা ও সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। ডিম রান্নাঘরের একটি সাধারণ খাদ্য উপাদান। এটি বিভিন্ন ধরণের খাবার যেমন কেক, রুটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ডিম একটি খুব নিখুঁত খাবার।
এতে প্রোটিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি ৬, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্ক সহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। ডিম বিভিন্নভাবে রান্না করা হয়। এটি সিদ্ধ করুন, ভাজুন, এটি বেক করুন এবং এটি একটি অমলেট আকারে খান। সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং স্বাস্থ্যকর প্রকারের তৈরি সিদ্ধ ডিম। তবে, সিদ্ধ ডিম গর্ভবতী মহিলার পক্ষে ভাল কিনা তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
কম ক্যালোরি, পুষ্টিকর সমৃদ্ধ খাবার। এটি উচ্চ মানের প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে পূর্ণ। প্রতিটি ডিম থেকে ছয় গ্রাম চর্বিযুক্ত প্রোটিন পাওয়া যেতে পারে। সিদ্ধ ডিমের কুসুম কোলিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য এটি প্রয়োজনীয়। এতে লুটেইন এবং জ্যানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
গর্ভবতী মহিলারা কি সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন?
গর্ভবতী মহিলারা সিদ্ধ ডিম খেতে পারেন কারণ এতে খনিজ, ভিটামিন এবং ভাল ফ্যাট রয়েছে। গর্ভাবস্থায় সেদ্ধ ডিম খাওয়া শিশু এবং মাকে সমস্ত প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। দৈনিক ১-২ টি পরিমাণে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি মহিলার কোলেস্টেরল স্তরের উপর নির্ভর করে। প্রতিটি ডিমের মধ্যে প্রায় ১৮৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল পাওয়া যায় এবং শরীরের দৈনিক প্রায় ৩০০ মিলিগ্রামের প্রয়োজন হয়।
গর্ভবতী মহিলাদের সিদ্ধ ডিম খাওয়ার সুবিধা:
ডিম শিশুকে অনেক রোগের বিকাশ থেকে রক্ষা করে। প্রতিটি ডিমের মধ্যে প্রায় ৭০ ক্যালোরি থাকে এবং প্রতিদিন বাচ্চা এবং মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ পূরণ করতে সহায়তা করে। ডিম খাওয়া শরীরে কোলেস্টেরল ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। তবে, কোলেস্টেরলের সমস্যা হলে গর্ভবতী মহিলাদের ডিমের কুসুমের পরিবর্তে হোয়াইটওয়াশ ব্যবহার করা উচিৎ।
No comments:
Post a Comment