অপা-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৫০! ব্যাংকের কাছে স্টেটমেন্ট চাইল ইডি

প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর 'ঘনিষ্ঠ' অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, এখন জেল হেফাজতে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁদের ২৩ জুলাই গ্রেফতার করেছিল ইডি। তাঁদের জেরা করে অনেক তথ্যও পেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা; অনেক ফ্ল্যাট ও ভুয়া কোম্পানির তথ্য ফাঁস হয়েছে। ইডি আধিকারিকরা লাগাতার তদন্ত করছেন। শান্তিনিকেতন সহ অনেক অনেক জায়গায় অভিযান চালানো হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইতিমধ্যেই আদালতকে উভয়ের নামে বেশ কয়েকটি জাল সংস্থার কথা জানিয়েছে এবং এবারে ইডি আদালতকে পার্থ এবং অর্পিতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে জানিয়েছে। 

ইডি জানিয়েছে যে, দুজনের নামে অন্তত ৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তদন্তকারীরা সেসব অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছেন। সেসব অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত স্টেটমেন্ট ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছে। বিবৃতি পাওয়ার পর ইডি অডিট করার প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। ইডি সূত্রে খবর, এর মধ্যেই ফরেন্সিক অডিট শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, এর মাধ্যমে লেনদেন সংক্রান্ত অনেক তথ্য জানা যায়। 

৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে নয়। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে থাকা সংস্থারও বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট  রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে চান, ওই অ্যাকাউন্টগুলো থেকে কোনও বেআইনি লেনদেন হয়েছে কিনা বা অর্থ পাচারের প্রক্রিয়া চলছিল কিনা।

ইডি সূত্রে খবর, জেরায় ইতিমধ্যেই ভুয়ো সংস্থাগুলির অনেক তথ্য সামনে এসেছে। ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন যে, ওই সমস্ত সংস্থার নামে ক্রমাগত লেনদেন চলছিল। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। সেই টাকার উৎস খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসছে এসব তথ্য। তদন্তের শুরুতেই ইডি-র আইনজীবী দাবী করেছিলেন যে, পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব তথ্য বেরিয়ে আসছে। বর্তমানে পার্থ ও অর্পিতা আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে রয়েছেন, তবে জেলে গেলেও ইডি আধিকারিকরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। তদন্তকারী সংস্থাকে সেই অনুমতি দিয়েছে আদালত।

ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আটটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি আধিকারিকরা। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি থেকে ৮ কোটি টাকা পাওয়া গেছে এবং এখন ইডি আধিকারিকরা মোট ৫০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য পেয়েছেন। সেই সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানতে চান ইডি আধিকারিকরা। এ বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।